সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৫ বছর ধরে প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক প্রেমিকার। তবুও পায়নি স্ত্রীর স্বীকৃতি। এবার স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তিন দিন ধরে অনশন করছেন সাবানা খাতুন (৩২) নামের এক নারী। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন সাবানা।
এলাকাবাসীরা জানায়, তাড়াশ পৌর এলাকার খুটিগাছা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে দুই সন্তানের জনক আনোয়ার হোসেন কাউরাইল বাজারে দর্জির দোকানে কাজ করেন। সে সুবাদে কাউরাইল গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে দুই সন্তানের জননী সাবানা খাতুন (৩২) সাথে পাঁচ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে থেকেই বিয়ের প্রলোভনে আনোয়ার হোসেন সাবানার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
সাবানা খাতুনের অভিযোগ, ‘আনোয়ার হোসেন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পাঁচ বছর ধরে আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে আসছে। সম্প্রতি বিয়ের কথা বলায় সে পালিয়ে যায়। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে এই বাড়িতে আত্মহত্যা করবো।’
সাবানার ছোট ভাই ফজলুল হক জানান, ‘প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার আমার বোন কাউরাইল বাজারে আনোয়ার হোসেনের দর্জির দোকানে কাজ করতে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা তার খোঁজ করেতে থাকি। পরে জানতে পারি আনোয়ারের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে সে অবস্থান করছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার বোনকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে মারপিট ও নির্যাতন করছে। আনোয়ারের ছোটভাই আনিছ বারবার পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ইজ্জতের মূল্য তো আর টাকা দিয়ে পূরণ হয় না।
এ বিষয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল শেখ বলেন, ঘটনার সত্যতা জানা ও মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।