উচ্চ বেতনের প্রলোভন আর উন্নত জীবনের আশ্বাস দিয়ে, বিভিন্ন দেশে নারীদের যৌনদাসী হিসেবে, পাচারে সক্রিয় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র। তথ্য-উপাত্ত বলছে, গত কয়েক বছরে, শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডান্সবারগুলোতে, পাচার হয়েছে দেড় হাজার নারী।
এছাড়া সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতেও নারীপাচারে সক্রিয় চক্রগুলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, নজরদারির অভাবে, গডফাদাররা অধরাই থাকছেন। তবে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি’র দাবি, তাদের তৎপরতায় কোনঠাসা পাচারচক্র। তবে, তারা এখনো নির্মূল হয়নি।
তারা ভেবেছিলেন, নারী শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যাচ্ছেন। কিন্তু দালালচক্র তাদের পণ্য হিসেবে, বিক্রি করেছিলো, দুবাইয়ের ডান্সবারে। অনুসন্ধানী তথ্য বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের মালিকানায়, প্রায় ৬০-৭০টি এমন ডান্সবার আছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি, দুবাইয়ে নারীপাচার চক্রের মাস্টারমাইন্ড, আজম খানকে সদলবলে গ্রেপ্তার করে। এসময়, পাচারের শিকার বেশকিছু নারী, তাদের দুর্বিসহ জীবনের গল্প বলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাচারকারীদের মূল হাতিয়ার প্রলোভন। তাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে নানা পেশার গডফাদাররা সক্রিয়। আর মুনাফা ভাগাভাগি হয়, সবখানে।
নারী ও মানবপাচার সিন্ডিকেট কিভাবে কাজ করে, সেসম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন, সিআইডি প্রধান।
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, পাচারকারীদের একটি অংশ ধরা পড়েছে। বাকীদের ধরতে, চলছে তৎপরতা ।
তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, পাচার রোধে সবচেয়ে জরুরী নিরাপদ অভিবাসন ও সচেতনতা। তাহলে, এমন ভাগ্যাহত নারীর সংখ্যা কমবে। বিশ্বে উজ্জল হবে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।