তার দল বাদ পড়েছে ঠিকই। তবে ইউরোতে রোনালদোর নাম নেয়া থেমে নেই ফুটবল ভক্তদের মুখে। আর থাকবে না কেন! এখনো মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন এই পর্তুগীজ খেলোয়াড়।
টুর্নামেন্টে পাঁচ গোল ও এক অ্যাসিস্ট করে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়েই রয়েছেন তিনি। যদিও চেক স্ট্রাইকার শিক ও পাঁচ গোল করেছেন। তবে ইউরোর নিয়ম বলছে অন্য কথা। সে নিয়মের কারণে শিক নন, গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এখনো সবচেয়ে বেশি অধিকার রোনালদোরই।
২০০৮ ইউরোর আগে থেকে উয়েফা নিয়ম করেছে, দুই বা ততোধিক খেলোয়াড়ের গোলসংখ্যা যদি সমান হয়, তাহলে যে বেশি গোলে সহায়তা করেছেন, তিনি এগিয়ে থাকবেন গোল্ডেন বুটের দৌড়ে। আর এখানেই এগিয়ে আছেন রোনালদো। পাঁচ গোলের পাশাপাশি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দিয়াগো জোটাকে দিয়ে একটি গোলও করিয়েছেন তিনি।
শিক-রোনালদো দুজনের দলই যেহেতু টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে, তাই বলা যেতে পারে; দুজনের রেকর্ডের পরিবর্তন হচ্ছে না আর।
সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এ দুজনের পেছনেই আছেন যথাক্রমে বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু (৪), সুইডেনের এমিল ফর্সবার্গ (৪), ফ্রান্সের করিম বেনজেমা (৪)—প্রত্যেকের দলই বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে।
রোনালদোর হাত থেকে গোল্ডেন বুটটা কেড়ে নিতে হলে তিন গোল করে তালিকায় এর পরেই থাকা ডেনমার্কের ক্যাসপার ডলবার্গ, ইংল্যান্ডের উইঙ্গার রাহিম স্টার্লিং ও অধিনায়ক হ্যারি কেইনকে হাতে থাকা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ দুটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি গোল করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে এরই মধ্যে টুর্নামেন্টে একটি অ্যাসিস্ট করে ফেলা স্টার্লিং এগিয়ে থাকবেন।
আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার এখনো পাওয়া হয়নি রোনালদোর। অন্যদিকে ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন, সামনের বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। রোনালদো ভক্তরা তাই বাকি ম্যাচগুলোতে স্টার্লিং-কেইনের ব্যর্থতার দিকেই তাকিয়ে থাকবে।