করোনার ভারতীয় ধরনে দেশে নতুন করে যে ১৩ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে সাতজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার।
শুক্রবার (২৮ মে) করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) তাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্তের খবর প্রকাশ করেছে।
জিআইএসএআইডির তথ্য বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওই সাতজনের পাঁচজনই পুরুষ। পুরুষ পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠজনের বয়স ১৩ বছর। একজনের বয়স ৩০ বছর, আরেক জনের বয়স ২১ বছর। বাকি দুজন হলো ৫২ বছর বয়সী এবং ২৭ বছর বয়সী। বাকি দুজন নারী। নারী দুজনের বয়স একজনের ২৭ বছর, আরেকজনের ৩১ বছর। এই সাতজনের কেউই অবশ্য সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করেননি।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার খবরে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমন হার বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলছে সাত দিনের বিশেষ লকডাউন। শনিবার (২৯ মে) ঘোষিত লকডাউনের ৫ম দিনেও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। রাস্তা অনেকটায় ফাঁকা, শুধুমাত্র আম পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্ট ছোট ভ্যান বা অটোরিকশা চলাচল করছে। এছাড়াও সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোন ভারি যানবাহন চলাচল করছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনাবগঞ্জে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, চলমান লকডাউনে প্রথম থেকে যেভাবে কঠোরভাবে কার্যকর করা হচ্ছে, সেটির ধারাবাহিকতা তারা ধরে রাখবেন।