নোয়াখালীর বসুরহাটে পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানের অনুসারীদের মধ্যে শুক্রবারের সংঘর্ষ ও বাস ভাংচুরের ঘটনায় শনিবার থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
মামলায় আসামী করা হয়েছে আবদুল কাদের মির্জার অর্ধশতাধিক অনুসারীকে। দুই মামলায় সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ জাবেদ ও মাসুদুর রহমান নামে তিনজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই মামলার আসামীরা সবাই এলাকায় আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, শনিবার সকালে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজিজ পাশা রোমেল বাদী হয়ে তার ওপর হামলার ঘটনায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
একই সময় বসুরহাট বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১১ জনকে আসামী করে বাস ভাংচুরের ঘটনায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন। এরা সবাই আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী রাসেল ও সাবেক কাউন্সিলর শিমুল চৌধুরীসহ ১৫-২০ জন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজিজ পাশা রোমেলের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আজিজ পাশা রোমেলের ভাতিজা কামরান পাশা আহত হন। এরপর রাতে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা প্রতিপক্ষ আকরাম উদ্দিনের ড্রিম লাইন পরিবহনের পাঁচটি বাস ভাঙচুর করে।
ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, সংঘর্ষ ও বাস ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আজ আদালতে পাঠানো হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আর যাতে অবনতি ঘটতে না পারে সেজন্য বসুরহাটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।