‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, লাল-সবুজ পতাকা, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা ও সোনার মানুষ গড়ার। বঙ্গবন্ধু সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে সুদূরপ্রসারী, যুগোপযোগী, সঠিক ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে দৃষ্টান্তমূলক বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধু অসহায় ভূমিহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করেছিলেন।
আর তাঁরই কন্যা এশিয়ার লৌহমানবী ও বিশ্ব মানবতার জননী আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীণ ও গৃহহীণকে জমিসহ ঘর দিয়ে বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শেখ হাসিনা শুধু আমাদের বাংলাদেশের সম্পদ নয়।
সারা বিশ্ব তাকে নিয়ে ঈর্ষা করে। শেখ হাসিনাকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়। বর্তমানে পৃথিবীর বুকে যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সব দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা। কিন্তু আমাদের আয় কমেনি।
আমাদের প্রবৃদ্ধির হার সাত দশমিক আট। এটা বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, আপনি আমার প্রেরণা, আমার অনুকরণ। আপনি যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছেন সেটা জেনে আমি আপনার কাছে শিখতে চাই, আমি জানতে চাই। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশে একশ অর্থনৈতিক জোন ইপিজেডের কারণে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন উন্নয়নশীল দেশ। আমি আওয়ামী লীগের কান্ডারী হয়ে গলাচিপা-দশমিনার উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করতে চাই। আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হতে চাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে আজ গ্রাম হচ্ছে শহর।
দক্ষিণের উপকূলীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজ বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। দেশের কোন মানুষ আজ বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত হয়নি। আলোকিত বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনা আমাদের অহংকার। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।’শুক্রবার বিকালে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রনুয়া বাজারে গণসংযোগকালে পথসভায় এসব কথা বলেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং বিজিবি’র মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবুল হোসেন বিএসপি, বিজিবিএম, এনডিসি, পিএসসি, পিইঞ্জিনিয়ারিং।পরে আবুল হোসেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শাহাদতবরণকারী দশমিনা উপজেলার পশ্চিম আলীপুরা গ্রামে অবস্থিত ছাতলীগ নেতা মামুন মৃধার কবর জিয়ারত করেন।
সন্ধ্যায় পশ্চিম আলীপুরা স্লুইজ বাজার এবং চাঁনপুরা কালা মিয়ার হাটে তিনি গণসংযোগ ও পথসভা করেন।
এসময় কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. দুলাল চৌধুরী, পানপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান ও গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবুল কালাম, গলাচিপা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম ধলা, পানপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মেলকার, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আলাল হক চৌধুরী, আলীপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা খালেদুর রহমান পলাশসহ গলাচিপা এবং দশমিনার উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।