বিয়ের পর অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত হলো বাসর রাত। যে সময়ে একজন নারী ও পুরুষ সামাজিক ও বৈধভাবে একে অপরের কাছে আসতে পারেন। ফলে এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উভয়ের জন্য রয়েছে কিছু করণীয়।
রাসুল (সা.) এ বিষয়ে রয়েছে নানা উপদেশ।
তিনি নিজের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাসর ঘরে হাসিমুখে ঢুকতে হবে। এরপর সালাম দিয়ে কথোপকথন শুরু করতে হবে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী প্রথম সাক্ষাতে দুই রাকাআত নফল একসঙ্গে আগ-পিছ দাঁড়িয়ে আদায় করবে।
নামাজ সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা- ‘স্ত্রী স্বামীর কাছে গেলে স্বামী দাঁড়িয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করবে। নামাজের সময়টি যদি রাতের বেলা হয় তবে কেরাত একটু উচ্চ স্বরে পড়বে আর যদি দিনের বেলা হয় তবে নিম্ন স্বরে পড়বে।
তার কথায়, ‘ভালবাসা ও সুসম্পর্ক আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর ঘৃণা বা রাগ-গোস্বা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। কারণ সে আল্লাহর হালাল করা বিষয়ে (শয়তান) তোমাদের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করতে চায়। সুতরাং তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসলে তাকে বল, সে যেন তোমার পেছনে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে। ’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ও তাবারানি)
বাসর রাতে নামাজের পর যে দোয়া পড়তে হয়,
اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিকলি ফি আহলি, ওয়া বারিক লাহুম ফিইয়্যা; আল্লাহুম্মাজমাঅ বাইনানা মা জামাতা বিখাইরিন ওয়া ওয়া ফাররিক বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন এবং আমার ভিতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। হে আল্লাহ! আপনি তাদের থেকে আমাকে রিজিক দিন আর আমার থেকে তাদেরকেও রিজিক দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণের সঙ্গেই একত্রে রাখুন। আর আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলে কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটান। ’ (তাবারানি