বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, শ্রীলঙ্কার মতোই বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান হবে। আমাদের মিটিং করতে দেয় না, আমাদের সমবেত করতে দেয় না। কেন? তাদের ভয় আমরা নাকি সমবেত হলে বিস্ফোরণ হবে, ঢাকায় বিস্ফোরণ হবে।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
মোশাররফ বলেন, জনগণ প্রস্তুত। আজ হোক, কাল হোক এদেশে বিস্ফোরণ হবে না, এই দেশে গণঅভ্যুত্থান হবে। অতীতে পাকিস্তান আমলে অভ্যুত্থান করে আইয়ুব খানের মতো ক্ষমতাধর স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে, এই বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদের মতো স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। আমাদের বিশ্বাস এদেশের মানুষ বার বার প্রমাণ করেছে জনগণের অভ্যুত্থানে এদেশে স্বৈরাচার হটে যেতে বাধ্য হয়েছে। শ্রীলংকা যদি পারে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে অতি শিগগিরই সেদিন আসবে।
তিনি বলেন, গতকাল সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ১৭ জন মানুষ মারা গেছে, অনেকে আহত। ঘটনা ঘটার পর সরকার বলে এটার মধ্যে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আছে। পঞ্চগড়ে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেন- এটার ভেতরে হয়তো বিএনপির হাত আছে। ঢাকা শহরে কতটি বিস্ফোরণ হয়েছে। এই সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নাই। কারণ ওরা জনগণের প্রতিনিধি নয়। এই সরকারের অবহেলা ও তাদের ব্যর্থতার কারণে এসব বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তাদের ব্যর্থতার কারণে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়, তাদের উসকানিতে এ ধরনের অপকর্ম ঘটানো হচ্ছে।