পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমারান খানের বিদায়ের পর অনেকটাই নিশ্চিত ছিল পিসিবির প্রধান থেকে রমিজ রাজার বিদায়। হয়েছেও তাই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর বোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয় রমিজ রাজাকে। সেই সাথে সরে যায় তার বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও।
তার জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন নাজাম শেঠি। তবে গত কয়েকদিন ধরেই এই দুই জনের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সরগরম পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গন।
পিসিবির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর রমিজকে আবারও ধারাভাষ্যে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল নাজাম শেঠির কাছে। উত্তরে শেঠি বলেন, ‘রামিজের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। আমি কখনই তার ধারাভাষ্য বক্সে ফিরে আসার বিরোধিতা করব না। ’
এর আগে চলতি বছর পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ আয়োজনে ভারতের অংশ না নেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছিলেন নাজাম শেঠি। ভারত এশিয়া কাপে অংশ না নিলে তাদের মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ বর্জন করবে কি না পাকিস্তান: সেটি নিয়েও ছিল প্রশ্ন। তবে সরকারের কোর্টেই বল পাস দিয়েছেন শেঠি। জানিয়েছেন, ‘সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করা হবে পাকিস্তান ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতে যাবে কি না। ’
শেঠির নেওয়া সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলেছেন রমিজ। তার কাছে নেতৃত্ব কি? যখন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল পাকিস্তানকে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বলেছে এবং তারপরে ভারত বলেছে যে তারা পাকিস্তানে ভ্রমণ করবে না। টুর্নামেন্টটি একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে স্থানান্তর করবে, তখন প্রতিক্রিয়া কী হওয়া উচিত ছিল শেঠির? এমণ প্রশ্ন ছিল পাকিস্তানের সাবেক বোর্ড প্রধান রাজার কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা কি শুধু ভারতের চাকর হব? কারণ তারা ক্রিকেটে পরাশক্তি। আমাদের কি তাদের সব কথা শোনা উচিত? আমরা ভাবব, আমরা কি বিচ্ছিন্ন হব, আমরা সরকারের কাছে অনুমতি চাইব তারপর আলোচনা আরও এগিয়ে যাবে। এগুলো ভালো নেতৃত্বের লক্ষণ নয়। পাকিস্তান ক্রিকেট দল দারুণ সময় পার করছে। আপনার ভালো ফ্যান ফলোয়ার আছে, আপনার সুপারস্টার আছে, তাই অনুগ্রহ করে আপনার দল এবং ভক্তদের তাদের প্রাপ্য সম্মান দিন। ’
রাজা আরো বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত, যেহেতু টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল, তাই কীভাবে এটি আমাদের বা এসিসি সদস্যদের সাথে পরামর্শ না করে একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে স্থানান্তরিত করা যায়। ’