চলতি বিশ্বকাপে সবাইকে অবাক করেছে মরক্কো। এরইমধ্যে আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফ্রিকার মুসলিম প্রধান এ দেশটি। তবে ফুটবলের সঙ্গে মাদকেও বেশ এগিয়ে মরক্কো। বিশ্বে মাদক উৎপাদনে বেশ উপরের দিকেই আছে তাদের নাম।
চলতি আসরে একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছে মরক্কো। আসরে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও হারেনি আফ্রিকার এ দলটি। গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিয়ে বেলজিয়ামকে হারিয়ে প্রথম চমক দেয় মরক্কো। এরপর নকআউটে স্পেন ও পর্তুগালের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছে কোচ ওয়ালিদ রেগরাগির দল। এখন অপেক্ষা আরও একটি চমক দেওয়ার। আজ রাত ১টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে তারা।
বিশ্ব মঞ্চে এবারই প্রথমবার মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায় ফ্রান্স ও মরক্কো। তবে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এখন পর্যন্ত পাঁচবার পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে দু’দল। যেখানে এখন পর্যন্ত একবারও ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি মরক্কো। তবে দু’দলের সবশেষ দেখায় ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র’করার সুখস্মৃতি রয়েছে আফ্রিকানদের। সেবার ২০০৭ সালে প্যারিসে ঘরের মাঠে ফ্রান্সকে রুখে দিয়েছিল মরক্কো।
তবে ফুটবলের বাইরে মাদক উৎপাদনেও বেশ এগিয়ে মরক্কানরা। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ মাদক উৎপাদনকারী দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসি (ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম)। যেখানে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মরক্কোর নাম।
মাদক উৎপাদনে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান ও কলম্বিয়ার নাম। এর পরেই অবস্থান মরক্কোর।
উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশ মরক্কো। দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় দেড় হাজার টন মারিজুয়ানা ও হাশিশ উৎপাদিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে সীমিত আকারে মারিজুয়ানা বা গাঁজার ব্যবহার বৈধ করায় এর চাষ আরো বেড়েছে দেশটিতে।