২০১৪ সালের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি। তবে পরের বারে অর্থাৎ ১৮-এর বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় থমাস মুলাররা। এবারের বিশ্বকাপেও প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার শঙ্কা তৈরি করে জার্মানরা। এবার সেই শঙ্কাই সত্যি হলো।
কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জিতেও কোনো লাভ হলো না দেশটির। টানা দুবারের মতো গ্রুপ পর্বের বাধা ডিঙাতে পারলো না ফ্লিকের শীর্ষরা।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জাপানের কাছে হেরে বসে জার্মানরা। দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেনের সঙ্গে ড্র। আর এতেই জটিল সমীকরণের মুখে পড়ে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না তাকিয়ে থাকতে হবে স্পেন-জাপানের ম্যাচের দিকে, এমন সমীকরণেই মাঠে নামে জার্মানরা। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জিতেও কোনও লাভ হলো না দেশটির। হতাশাই কেবল ভর করলো তাদের মুখে।
এ দিন মূলত ভাগ্য জার্মানির অনুকূলে ছিল না। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জয় পেলেও গ্রুপের অন্য ম্যাচেন স্পেনকে হারিয়ে দেন জাপান। ফলে বাদ পড়তে হয় জর্মানিকে। শেষ ম্যাচ জিতেও লাভ হয়নি জার্মানদের।
শেষ ষোলোতে যাওয়ার বাঁচা মরার লাড়াইয়ে ম্যাচে আল বাইত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় জার্মিানি ও কোস্টারিকা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে জার্মানরা। ১০ মিনিটের মাথায় হেডে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন সার্জ নাবরি।
গোল করার পরেও ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ছিলেন মুলাররা। কোস্টারিকার অর্ধেই পুরো খেলা হচ্ছিল। রক্ষণে নেমে গিয়েছিল কোস্টারিকার পুরো দল। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি জার্মানি। অন্যদিকে ম্যাচের ৪০ মিনিটের পর জার্মান ডিফেন্ডারের কয়েকটি বড় ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় কোস্টারিকা। যদিও ন্যুয়ার জাদুতে কেশের ফুয়ের ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে কোস্টারিকা। ফলও মেলে। ৫৮ মিনিটের মাথায় তাজেদার গোলে সমতা ফেরায় কোস্টারিকা। গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় জার্মানি। কারণ জয় ছাড়া উপায় ছিল না তাদের। উল্টো ৭০ মিনিটের মাথায় ন্যুয়ারের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় কোস্টারিকা।
তিন মিনিট পর অর্থাৎ ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আবারও গোল। এবার গোল করে জার্মানি। গোলদাতা বদলি খেলোয়াড় কাই হাভার্টজ। থমাস মুলারের পরিবর্তে মাঠে নামা হাভার্টজই ফুলক্রুগের পাস থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন তিনি।
৮৫ তম মিনিটে কোস্টারিকা শিবিরে ফের হাভার্টজের হানা। গুনাব্রিরর অসাধারণ এক শট থেকে বল চলে যান বক্সের বাম প্রান্তে। দৌড়ে এতে বাম পায়ের এক টোকায় বলটি কোস্টারিকার জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে আবারও গোল জার্মানির। এবার গোল করেন নিকলাস ফুলক্রুগ। লেরয় সানের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। কিন্তু লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুলে দাঁড়ালে গোল বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু গোলদাতা ফুলক্রুগ অফসাইড ছিলেন না বলে দাবি করেন। যার ফলে, ভিএআর চেক করা হয়। ভিএআর দেখে গোল দেয়া হয় জার্মানির পক্ষে।
তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। অপর ম্যাচে ২-১ গোলে স্পেনকে হারিয়ে দিয়েছিল জাপান। ফলে তিন ম্যাচ খেলে জাপানের পয়েন্ট দাঁড়ায় ৬। আর স্পেন ও জার্মানি দুদলেরই পয়েন্ট ৪। গোল পার্থক্যে পরের রাউন্ডে যায় স্পেন। অন্যদিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।