কাতার বিশ্বকাপের শুরুর দিনেই বড় ধাক্কা খেয়েছে ব্রাজিল। সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের রাতে ব্রাজিলের হতাশার নাম নেইমারের চোট। আজ আবারও মাঠে নামছে তার দল। তবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।
শঙ্কা আছে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে নামা নিয়েও। সেই শঙ্কা কাটাতেই উন্নত চিকিৎসা করা হবে নেইমারের। দ্রুত মাঠে নামাতে ব্যবহার করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) প্রযুক্তি।
দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪–এ আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। যেখানে জয় পেলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হবে ব্রাজিলের।
নেইমারের ফিজিওথেরাপির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নাসার আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে নেইমার নিজেই জানিয়েছেন বিষয়টি। ‘কমপ্রেশন বুট’ নামের এই প্রযুক্তির ছবি প্রকাশ করেছেন নেইমার। যা দ্রুত ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হবে। দুই পায়েই এই পোশাক পরতে হবে তাকে।
পোশাকটি দেখতে অনেকটা প্যান্টের মতো। এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া প্রযুক্তি শরীরের ব্যথা কমানোর কাজ করে, যা নাসাতে ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু ব্যথা নয়, আঘাত পাওয়া জায়গায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা, ফোলা কমানো, ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু পুনর্গঠন ও ক্র্যাম্প কমানোর কাজও করে এ প্রযুক্তি।
এদিকে দলের সেরা তারকা চোট পেলেও ব্রাজিলের সমর্থন পাচ্ছেন না তিনি। উল্টো তার চোটে খুশি হয়ে উদযাপন করা হচ্ছে। নেইমারকে তুলোধোনা করতেও ছাড়ছে না ব্রাজিলিয়ান ফুটবল প্রেমীরা। তবে এসব রাজনৈতিক কারণে হচ্ছে বলেই জানা গেছে।
চোট নিয়ে নেইমার ইনস্টাগ্রামে বলেন, ‘জাতীয় দলের জার্সি পরে আমি যে গর্ব অনুভব করি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আরও একবার জন্ম নেওয়ার সুযোগ দিলে ব্রাজিলেই জন্ম নিতে চাইতাম। এখন আমার ক্যারিয়ারে অন্যতম কঠিন সময়। বিশ্বকাপে আবারও চোটে পড়েছি। তবে ফেরার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। দেশের মানুষকে ও দেশকে সাহায্য করতে আমি সবকিছুই করব। ’
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার খবর, এর আগেও বার্সেলোনা থাকাকালীন চোট সারাতে ও ব্যথা কমাতে নাসার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন নেইমার। ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) ফিজিওথেরাপি দলের কাছেও এ প্রযুক্তি আছে। এটি একই সঙ্গে দুই পায়ে ব্যবহার করতে হয়।