কাতারের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গ্রুপ বি-এর প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে ইরান-ইংল্যান্ড। যেখানে তিন পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপপর্বে এগিয়ে থাকতে চাইবে দু’দলই। তবে যেকোনো বিচারে ইরানের থেকে ঢের এগিয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে ইরানের।
দু’দলের প্রথম দেখায় ইংল্যান্ডকে হারাতে চায় কোচ কার্লোস কুইরোজও।
সবশেষ ২০২০ ইউরো ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ড। তার আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে থ্রি লায়ন্সরা। ইউরোপীয় বাছাইপর্বে গ্রুপপর্বে গোলের রেকর্ড গড়ে কাতারে এসেছে ইংলিশরা। সেকারণেই বেশ আত্মবিশ্বাসী সাউথগেটের দল। যে কোনো মূল্যে ইরানের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলতে চায় ইংল্যান্ড।
তবে মাঠে নেমেই ম্যাচ জিতে যাবে ইংলিশরা। এমনটি ভাবারও কারণ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে রয়েছে ইরানও। এশিয়ান বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ১০ ম্যাচের ৮টিতেই জয় পেয়েছে ইরান। এছাড়াও সার্বিয়া, মরক্কো ও পোল্যান্ডকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পেছনে ফেলেছে ২০ তম স্থানে উঠে এসেছে তারা। তবে গত বুধবারই তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে কুইরোজের দল। যদিও এ হারকে বড় করে দেখতে নারাজ তিনি। বরং হারকে শক্তিতে পরিণত করে ম্যাচে জয় চান কুইরোজ।
এ হার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আরও ভালভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে বলেই মনে করেন কুইরোজ, ‘অবশ্যই, ফলাফল ভাল নয়। আমরা লক্ষ্য স্বীকার করতে পছন্দ করি না, আমরা হারতে পছন্দ করি না কিন্তু আমাদের সংশোধন করতে হবে। আমরা গোল করার কয়েকটি সুযোগ মিস করেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ইংল্যান্ড ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। ’
উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ২০ দলের মধ্যে ইরানও একটি। তবে বাকি দলগুলোর মধ্যে গোলের উদ্দেশ্যে সব থেকে কম ৪৭টি শট নিয়েছে ইরান। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মোটে ১০টি। এছাড়াও সবচেয়ে কম গোল করেছে ইরান। দুই টুর্নামেন্ট মিলিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ৩টি গোল করেছে তারা।
তবে গ্রুপপর্বে বেশ ভয়ংকর ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে ৫ গোল দেওয়ার পাশাপাশি মোট ৬ গোল দিয়ে গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনি। রয়েছেন দারুণ ফর্মে। ইউরোপীয় বাছাইপর্বেও টপ স্কোরার ছিলেন তিনি। ফলে ইরানকে ভোগাবেন কেন বলা যায় নিঃসন্দেহে। তবে ইংলিশদের সমস্যার কারণ হতে পারে কাতারের গরম।
তবে গরম কোনো সমস্যা নয় বলেই জানিয়েছেন ইংলিশদের রক্ষণভাগের ফুটবলার এরিক ডিয়ার। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের প্রভাব ফেলবে। আমি এটি আগে কখনও অনুভব করিনি, তাই এটি প্রথম হতে চলেছে। সাধারণত টুর্নামেন্ট গ্রীষ্মে খেলা হয়। রাশিয়ায় গরম ছিল। আমি সেখানে ছিলাম না কিন্তু ইংল্যান্ডে ইউরোর সময় গরম ছিল, তাই আমি মনে করি আমরা এর জন্য প্রস্তুত এবং আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের মতো একই কন্ডিশনে খেলছি, তাই এটি সবার জন্য সমান। ’