শবনম বুবলীর সন্তান প্রকাশ্য আসার পর থেকেই সমালোচনার শীর্ষে চিত্রনায়ক শাকিব খান। আলোচনা-সমালোচনার টেবিলে শাকিব-বুবলী-অপু ইস্যু এখনও আবেদন হারায়নি। বরং প্রতিনিয়ত নতুনত্ব নিয়ে সামনে আসছে তা। বিয়ে-সন্তান ও বিচ্ছেদ এই তিন চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে এই আলোচিত জুটি।
এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন এফডিসি সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
বুবলী এবং শাকিব খানের বিয়ে প্রসংগে ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, কেউ যদি অসামাজিক কাজ করে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনা। কিন্তু শাকিব বিয়ে করেছে বলে সব মানুষ তার পিছে লাগছে। একটা মানুষ যদি পছন্দের মানুষ থাকতে পারে । সে যদি তাকে বিয়ে করে তাহলে তো দোষের কিছু নেই।
এসময় তিনি আরও যোগ করেন, শাকিব দোষটা কী করেছে? যাকে বিয়ে করেছে সে যদি রাজি থাকে তাহলে অসুবিধা তো নেই। তার সাথে সে অবৈধ কিছু করছে না। তাহলে সমস্যা কই। বিয়ে করলেই তো বাচ্চা হবে, লিগ্যাল বাচ্চা হবে। বিয়ে করে বাচ্চা হইলে সমস্যা কই’?
প্রথমে ঢালিউড ক্যুইন অপু বিশ্বাসকে বিবাহ বিচ্ছেদের পর বুবলীকে বিয়ে, ছেলে শেহজাদ খান বীরকে আড়ালে রাখা, কবে বিয়ে হয়েছে শাকিব-বুবলীরসহ নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে সোশ্যালে। কেউ কেউ অভিনেতার পাশে দাঁড়ালেও সমালোচনাও করেছেন অনেকে। পরপর দুবার দুই সহকর্মীকে গোপনে বিয়ে ও সন্তানের বিষয় আড়ালে রাখায় তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েন শাকিব খান।
আরও পড়ুন : শাকিব খানের কোনো দোষ নেই : ইলোরা গহর
প্রসঙ্গত, বুবলীকে বিয়ের আগে ২০০৮ সালে অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন শাকিব খান। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় একমাত্র ছেলের জন্ম হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ের খবর এভাবে প্রকাশ্যে আনায় বিপাকে পড়েন ঢালিউড ক্যুইন।
শাকিব খান ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে তালাকের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তালাক হয় এই তারকা দম্পতির।