ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য ছিল ‘ডু অর ডাই’। সিডনিতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় হয়ে যেত বাবর-রিজওয়ানদের। সেমিফাইনালে চলে যেত দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে মরা-বাঁচার ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল পাকিস্তান।
শুধু তাই নয়, দলটির সামনে সুযোগ আছে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার। সেক্ষেত্রে অনেক যদি-কিন্তুও যেতে হবে তাদের পক্ষে।
বৃষ্টি আইনে আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে খাঁদের কিনারায় চলে গিয়েছিল পাক ক্রিকেট দল। এরপর নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা দুই জয়ে তিনে চলে এসেছে বাবরের দল। বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে তারা।
সুপার টুয়েলভে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষেই। যাদের সামনেও সুযোগ আছে সেমিফাইনালে ওঠার। বলা চলে, গ্রুপ ২-এর লড়াই বেশ জমে উঠেছে।
কত পয়েন্টে কে কোথায় আছে?
গতকাল বুধবার বাংলাদেশকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে ভারত। তাদের নেট রানরেট (+০.৭৩০)। পাকিস্তানের কাছে হারের পরও দুইয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫ পয়েন্ট পাওয়া প্রোটিয়াদের নেট রানরেট গ্রুপে সবার চেয়ে ভালো, +১.৪০২। সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন ও চারে যথাক্রমে পাকিস্তান-বাংলাদেশ। পাকিস্তানের নেট রানরেট +১.০৮৫, বাংলাদেশের -১.৩১৩।
এই গ্রুপ থেকে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি দলের বিদায়ই নিশ্চিত হয়েছে, ছয়ে থাকা নেদারল্যান্ডসের। এক জয়ে তাদের পয়েন্ট ২। যাদের হারিয়ে এই ২ পয়েন্ট অর্জন করেছে ডাচরা সেই জিম্বাবুয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে পাঁচে। তাদের নেট রানরেট -০.৩১৩। সেমিতে ওঠার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা না থাকলেও খাতা-কলমে দলটিও এখনো টিকে আছে শেষ চারে ওঠার দৌড়ে।
দৌড়ে এগিয়ে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকাই
সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ২ থেকে কোনো দলেরই নিশ্চিত হয়নি শেষ চার। তবে এগিয়ে আছে শীর্ষ দুইয়ে থাকা ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকাই। শেষ ম্যাচ জিতলেই দল দুটি কোনো যদি-কিন্তু ছাড়া উঠে যাবে সেমিতে। নিজ নিজ শেষ ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই লড়বে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
পাকিস্তান-বাংলাদেশ দল দুটির সামনেও সুযোগ আছে পরের রাউন্ডে ওঠার। তবে মুখোমুখি দেখায় শুধু জয় পেলেই চলবে না, প্রতিপক্ষের ফল তাদের পাওয়া সে জয়কে মূল্যহীন করে দিতে পারে। যেমন, বাংলাদেশ যদি যেতে তবে ৬ পয়েন্ট হবে সাকিব আল হাসানের দলের। সেক্ষেত্রে ভারত অথবা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারতে হবে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই শর্ত খাটবে।
সেই হিসেবে জিম্বাবুয়ে আছে সবচেয়ে পিছিয়ে। শেষ ম্যাচে ভারতকে হারালেই চলবে না তাদের। জিততে হবে বিশাল ব্যবধানে। সেক্ষেত্রে নেট রানরেন একটু স্বাস্থ্যবান হবে দলটির। এখানেই শেষ নয়। যদি-কিন্তু আছে আরও। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকারও জেতা চলবে না। ফল আসা যাবে না বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচেরও। তবেই কেবল জিম্বাবুয়ে দেখবে আশার আলো।