আগেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজ। নিজেদের প্রথম তিনটি ম্যাচ হেরে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছে সাকিবের দল। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই ম্যাচে সিরিজে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করেছে লিটন-সাকিবরা।
২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানে করেছে তারা।
ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাপ্তান সাকিব। ওপেনিং জুটিতে দেখা যায় নতুন মুখ। শান্ত ও সৌম্য শুরু করেন খেলা।
বরাবরের মতো ব্যর্থ শান্ত। প্রথম ওভারের পাঁচ বল খেলে কোনো রানই তুলতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে দলে ফেরা সৌম্যও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছিলেন না। এক চার মেরে দলীয় ৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য। যাওয়ার আগে চার বলে মাত্র ৪ রান করেন তিনি।
সৌম্যের পর মাঠে আসেন বর্তমান সময়ে দারুণ ফর্মে থাকা লিটন দাস। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি শান্ত। ১৫ বলে দুই চারে ১২ রান করে রিজওয়ানের তালুবন্দি হন এই ব্যাটসম্যান।
শান্তের পর ক্রিজে আসেন কাপ্তান সাকিব। দেখে শুনে খেলতে থাকেন সাকিব-লিটন। মূলত এ জুটিই বাংলাদেশের দলীয় রান বাড়িয়ে দেয়। দলীয় ১২৯ রানে লিটনকে ফেরান নওয়াজ। এর আগে ৪২ বলে ছয় চার ও দুই ছয়ে ১৬৪.২ স্ট্রাইক রেটে ৬৯ রান করেন তিনি।
লিটনের আউটের পরেও দেখে শুনে খেলতে থাকেন সাকিব। তুলে নেন নিজের অর্ধশত। দলীয় ১৬৭ রানে তাকে ফেরান পেসার নাসিম শাহ। এর আগে ৪২ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় ৬৮ রান করেন বাংলাদেশি কাপ্তান। শেষে আর কেউ না হিট করতে না পারায় বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৭৩ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট করে নেন নাসিম ও ওয়াসিম জুনিয়র।