নাটোরের সিংড়া উপজেলার অন্তর্গত নিভৃত পল্লীর পাঁচপাখিয়া গ্রামের মোছাঃ গুলনাহার মিনা একজন রত্নগর্ভা মা। তিনি একজন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক এবং তার বাবার বাড়ি একই উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামে। গুলনাহার বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সরদার তোফাজ্জল হোসেন এর স্ত্রী। তিনি একজন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক , শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর একটানা চাঁর দশক সভাপতিত্ব এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ এর আমৃত্যু সহ-সভাপতি। খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়রাম্যান ও পাঁচপাখিয়া গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি ।
গুলনাহারের ২ ছেলে ও ২ মেয়ে বড় ছেলে ডঃ ইঞ্জিঃ জি জি মোঃ নেওয়াজ আলী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূর্ণ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে হংকং এর সিটি ইউনিভার্সিটি হতে কম্পিউটার কৌশলে পিএচডি ডিগ্রী অর্জন করেন এবং বর্তমানে তিনি আমেরিকার ব্রাডলি ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও তাঁর সহধর্মিনী ডঃ সামান্থা সৈয়দাও একই ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্তব্যরত আছেন।
তাঁর ছোট ছেলে ইঞ্জিঃ মোঃ গিয়াশ কামাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূর্ণ করে বর্তমানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত আছেন। গুলনাহার মিনার দুই মেয়ে মোছাঃ তছলিমা এবং মোছাঃ তাহেরা খানম স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করে সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
গুলনাহার নিভৃত পল্লীতে বসবাস করে তাঁর চার ছেলে-মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে সুপ্রতিষ্ঠিত করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ২৬ জানুয়ারী, ২০২০ তারিখে তাঁকে রত্নগর্ভা পুরষ্কার প্রদান করেন এবং রাজনীতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ তাঁর স্বামী বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সরদার তোফাজ্জল হোসেন কে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করেন।
তোফাজ্জল হোসেন শিক্ষার প্রসার, সমাজ সেবা এবং রাজনৈতিক কাজে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেছেন। গুলনাহার মিনা বর্তমানে পাঁচপাখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং তিনি নিষ্ঠার সাথে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নিজ এলাকায় একটি এতিমখানা ও হেফজ মাদরাসা এবং তাঁর স্বামীর শেষ ইচ্ছানুযায়ী একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার তাঁর প্রবল ইচ্ছা আছে। তাঁর জনহিতকর, সমাজসেবামূলক ও শিক্ষার বিস্তারে কাজের জন্য এলাকার সকল জনগণ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁর এমন সাফল্য এবং মহৎ উদ্যোগে নিজ জন্মস্থান হুলহুলিয়া গ্রামের সকল জনগণ খুব খুশি। তাঁর দুই ভাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জনাব মোঃ হবিবুর রহমান ও হুলহুলিয়া সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান পরশ তৌফিক তাঁর উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন। মিনা তাঁর জনহিতকর, সমাজসেবামূলক ও শিক্ষার বিস্তারে কাজ করার জন্য সবার কাছে দোয়া এবং সহযোগীতা চান।