টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে থাইল্যান্ডকে হারাতেই হবে, এমন সমীকরণে মাঠে নামে বাংলাদেশের মেয়েরা। যেখানে ১১ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর তাতে নিশ্চিত হয়েছে সাউথ আফ্রিকা বিশ্বকাপের টিকিট।
বাছাইয়ের ফাইনালে উঠলেই মূল পর্ব নিশ্চিত— এমন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ছাড়াও প্রতীক্ষায় ছিল আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ের মেয়েরা।
প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৪ রানে হারায় আয়ারল্যান্ড। অপর ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ১১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে বাংলাদেশ।
এর আগে গ্রুপ পর্বে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাছাইয়ের সেমিতে এসেছে বাংলাদেশ। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে দাপট দেখিয়ে এগোচ্ছেন সালমা-নিগার-সোহেলিরা।
আবুধাবিতে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় থাইল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করে দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন। ১৭ বলে ১১ রান করে ফেরেন ফারজানা। এরপর মুরশিদা ফিরেন ৩৫ বল থেকে ২৬ রান করে। অধিনায়ক নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ১৭ রান।
শেষ দিকে কিছুটা দ্রুত রান তুলেছেন রুমানা আহমেদ ও রিতু মনি। রুমানার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২৮ রান। রিতু খেলেন ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংস। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট খরচায় ১১৩ রান।
১১৪ রান তারা করতে নেমে ১৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে থাইল্যান্ড। সেই চাপ সামলাতে ধীর গতিতে ব্যাট চালাতে থাকে নথকান চনথাম ও অধিনায়ক নারুয়েমল ছাইওয়াই। ২৭ বল থেকে ১২ রান করে অধিনায়ক ফিরলে দ্রুত ব্যাট চালিয়ে জয় পেতে চায় চনথাম। তবে তার বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় থাইল্যান্ড।
আউট হওয়ার আগে চনথাম খেলেন ৫১ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। বাকি ব্যাটাররা এসে কেবল ব্যবধান কমিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের মেয়েদের থামতে হয় ৬ উইকেটে ১০২ রানে। আর তাতে ১১ রানের জয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটা হয়ে যায় নিগার সুলতানার দলের। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সালমা খাতুন।