বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিনকে মানুষ যেভাবেই মূল্যায়ন করুক না কেন, ফুটবলার সালাউদ্দিন ছিলেন সবার চোখের মণি। খেলোয়াড়ি জীবনে পায়ের জাদুতে দর্শকদের করে রাখতেন বুঁদ। নিজের সময়ে দেশের সবচেয়ে বড় ‘আইকনিক’ খেলোয়াড় ছিলেন সালাউদ্দিন।
সাফজয়ী বাংলাদেশ দল আজ দেশে ফেরার পর মেয়েদের রাজকীয় সংবর্ধনা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে ফুটবল ফেডারেশনবাফুফে ভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে একসময়কার আইকন সালাউদ্দিনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, বাংলাদেশের সাফজয়ী দলের অধিনায়ক মেয়েদের আইকন সাবিনা খাতুনকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন তিনি?
নিঃসন্দেহে নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় সাফল্য নেপাল থেকে নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। আর এই স্বপ্নপূরণের কারিগর সাবিনা নিজেই। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। টুর্নামেন্টে দুটি হ্যাটট্রিকসহ করেছেন ৮ গোল। পেয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট। এ ছাড়াও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও ওঠে ওই সাবিনার হাতে।
কাজী সালাউদ্দিন তাই কোনো রাখঢাক রাখলেন না। সাবিনাকে দেশের সর্বকালের সেরা নারী ফুটবলারের আখ্যা দিলেন বাফুফে সভাপতি, ‘সে বিশাল মাপের একজন খেলোয়াড়। শুধু তাই নয়, তার ব্যক্তিত্বও দারুণ। সে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। ’
সাবিনার নেতৃত্বগুণ নিয়ে শুধু সালাউদ্দিন নন, এর আগে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। নেপালের বিপক্ষে সাফ জয়ের তিনি জানান, ৭০ মিনিটের পর তার কথা আর কোনো ফুটবলারের কান পর্যন্ত যাচ্ছিল না। সে সময় সাবিনা মাঠে থেকে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
সালাউদ্দিনের আজকের কথায়ও উঠে এলো সেই প্রসঙ্গ। সাবিনার মতো ফুটবলারকে দলে পাওয়ায় কোচকে সৌভাগ্যবানও বলছেন বাফুফে সভাপতি, ‘সে সিনিয়র হিসেবে বাচ্চা-বাচ্চা (বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা) মেয়েগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে পরিপক্ব করে ফুটবল খেলায়। কোচের এটা সৌভাগ্য যে, সে সাবিনার মতো একজন ফুটবলারকে মাঠে পায়। সে নিজে নেতৃত্ব দেয় এবং দল খেলায়। সে অসাধারণ। ’