উইকেটে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে আসিফ আলি তখন একাই। পাকিস্তানের জয়ের স্বপ্ন তাই তাকে ঘিরেই। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে আফগানিস্তান পেসার ফরিদ আহমেদের পাতা ফাঁদে পা দেন আসিফ।
ফিল্ডিং সেট করে ফরিদ খাটো লেংথে বল ফেলেন।
আর তা উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে বসেন পাকিস্তানের বিস্ফোরক ব্যাটার আসিফ। তার পুল শট গিয়ে ধরা পড়ে শর্ট ফাইন লেগে থাকা করিম জানাতের হাতে।
আসিফ উইকেট পেতেই আফগানিস্তানের সে কী উল্লাস! কেননা তার বিদায়েই যে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দলটির। আসিফকে আউট করে বোলার ফরিদও ছিলেন আনন্দে আত্মহারা। তাই নিজেকে যেন আর ধরে রাখতে পারেননি। মাঠ ছাড়তে যাওয়া আসিফের সামনে কী যেন বলে বসেন তিনি।
ব্যস! ফরিদের এমন কাণ্ডে বেশ ক্ষেপে যান আসিফ। একে তো উইকেট দেয়ায় দল চলে গেছে খাঁদের কিনারায় চলে যাওয়া, তার ওপর প্রতিপক্ষ বোলারের এমন আচরণ! রাগে ফুঁসে ওঠা আসিফ তো ব্যাট দিয়ে মারতেই চলেছিলেন ফরিদকে। তবে তাদের এই রেষারেষি বেশিদূর গড়াতে দেয়নি আফগান ক্রিকেটাররা।
প্রথম আজমতুল্লাহ ওমরজাই থামান তাদের সেই বচসা। এরপর বাকিরা এসে ঠাণ্ডা করেন পরিস্থিতি! আম্পায়াররাও এসময় হস্তক্ষেপ করেন। নয়তো কে জানেন, পরিস্থিতি আরও কতটা উত্তপ্ত হতো বা কতদূর গড়াত।
তবে নিশ্চিত, এমন কাণ্ডে সাজা পেতে যাচ্ছেন আসিফ-ফরিদ দুজনেই। কেননা খেলার এমন কাণ্ড যে ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী।