পটুয়াখালীর গলাচিপায় শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে মৌসুমী ব্যবসা পিঠা বিক্রি। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতের ওলি-গলিতে জমে উঠেছে ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রির ধুম। সন্ধ্যার পর পরেই ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রির দোকান গুলোতে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের খেয়া ঘাট, লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট, পৌরসভা, চৌরাস্তা, কলেজ পড়া, আওয়ামী অফিস চত্বর, উপজেলা পরিষদ চত্বর, হাফেজ পুল, সদর রোড, থানা মোড়, কালিবাড়ি রোডের বিভিন্ন ওলি-গলিতে রাস্তার ফুটপাতে ও মোড়ে মোড়ে চলছে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম। ভাপা পিঠার পাশাপাশি বিক্রি করছে চিতল (চিতাই) পিঠাও।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে এসব পিঠা বিক্রি। বেশিরভাগ দোকানেই পিঠা বিক্রি করছেন নিম্নবিত্ত পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা। হাফেজ পুলের উপর পিঠা বিক্রেতা হালিমা বেগম জানান, শীতের সময়ে পিঠা বিক্রি বেড়ে যায়। শীতের মধ্যে গরম গরম ভাপা ও চিতই পিঠা খেতে মানুষ ভিড় করে। বিকাল বেলা থেকে রাত পর্যন্ত পিঠা বানানো নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। নতুন চালের গুড়ো ও নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে খুব যত্ন সহকারে তৈরী করা হয় ক্রেতাদের জন্য ভাপা পিঠা।
পিঠাকে আরো সুস্বাদু করার জন্য নারকেল ও গুড় ব্যবহার করা হয়। ভাপা পিঠা ছাড়াও ক্রেতাদের জন্য চিতল (চিতাই) পিঠা তৈরী করা হয়। সরিষার ভর্তা, কাচা মরিচ ভর্তা, ধনিয়া পাতা ভর্তা, খেজুরের গুড় ও সুটকি ভর্তা ফ্রি দেওয়া হয়। এসব পিঠা প্রতি পিচ ৫ টাকা করে বিক্রি করে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজি পরিমান চালের পিঠা বিক্রি হয়। পিঠা তৈরির বিষয় জানতে চাইলে সিনেমা হল মোড়ের পিঠা বিক্রেতা মাজেদা বেগম বলেন, পিঠা তৈরির একটি পাতিল ও ঢাকনা ব্যাবহার করা হয়।
জলন্ত চুলার উপর পাতিলে পানি দিয়ে ঢাকনার মাঝখানটা ছিদ্র করে পাত্রের মুখে দিতে হয়। এ সময় ঢাকনার চারপাশে আটা, চালের গুড়া ও কাপড় দিয়ে শক্ত করে মুড়ে দেওয়া হয়। যাতে করে গরম পানির ভাব বের হতে না পারে। পরে ছোট একটি গোল পাত্রের মধ্যে চালের গুড়া, নারিকেল ও গুড় মিশিয়ে পাতলা কাপড়ের আবরণে ঢাকনার মুখে রাখা হয়। পানির গরম তাপেই নিমিষেই সিদ্ধ হয়ে যায় নতুন চালের ভাপা পিঠা।