টুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করবেন কি না সে সিদ্ধান্ত ব্যবহারকারীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। ব্যবহারকারীদের ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘টুইটারের সিইও পদ থেকে আমার পদত্যাগ করা উচিত কি না? আমি ভোটের ফলাফল মেনে নেব। ‘
জরিপে এখন পর্যন্ত দেড় কোটিরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে মাস্কের পদত্যাগ করতে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন ৫৭ শতাংশ ব্যবহারকারী।
তবে কবে নাগাদ মাস্ক পদত্যাগ করবেন বা তার জায়গায় সিইও হিসেবে কে আসবেন এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি। যদিও তিনি যে জরিপের ফলাফলের ব্যাপারে সিরিয়াস সেটা পরবর্তী এক টুইট বার্তায় ইঙ্গিত দিয়েছেন। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, আপনি যা চাচ্ছেন তা পেয়ে যেতে পারেন তাই সতর্কভাবে চাইবেন। তিনি আরও বলেন, যারা ক্ষমতা চায় তারা ক্ষমতা পাওয়ার যোগ্য না।
রোববার টুইটার জানিয়েছে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লিঙ্ক পোস্ট করলে ব্যবহারকারীদের ব্লক করে দিবে। তবে তখনই ব্লক করা হবে যখন, ‘সেই অ্যাকাউন্টের প্রাথমিক উদ্দেশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী মাধ্যমগুলোর প্রচার করা। ‘
এর আগে ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এর পর কর্মী ছাটাই থেকে শুরু করে বিতর্কিত ব্যবহারকারীদের টুইটার অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করে বিতর্কের মুখে পড়েন মাস্ক। সম্প্রতি তার সমালোচনা করায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দেন মাস্ক। এমন পরিস্থিতিতে টুইটারে তার সিইও পদের ভবিষ্যৎ ব্যবহারকারীদের ওপর ছেড়ে দিলেন মাস্ক।