বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রতিটা মুহূর্তই বেশ স্মরণীয়। এর মধ্যে কিছু ঘটনার রেশ থেকে যায় অনেক দিন। সেই সব কিছু ঘটনা সংখ্যাতথ্যে তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য:
৮৮. বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে কম সময়ে গোলের রেকর্ড ইয়োহান নিসকিন্স। ৮৮ সেকেন্ডে গোল করেন তিনি।
১৯৭৪ বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানির পায়ে বল যাওয়ার আগেই গোল করেন নিসকিন্স। কিক অফের পর ১৬ পাস খেলার পর পেনাল্টি পায় নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম পেনাল্টির ঘটনা সেটাই।৬০. বিশ্বকাপ শুরুর ৬০ বছর পর ফাইনালে কোনো দল ক্লিন শিট (গোল হজম না করা) রাখতে সমর্থ হয়। ১৯৯০ বিশ্বকাপে সেই রেকর্ড গড়ে পশ্চিম জার্মানি। ওই ম্যাচে জার্মানির তিন কাঠির নিচে দাঁড়িয়ে কোনো গোল হজম করেননি ২৩ বছর বয়সী জার্মান গোলরক্ষক বোদো ইলগনার। ম্যাচটি জার্মানি জিতেছিল ১-০ গোলে।
৪৪. দক্ষিণ আফ্রিকায় স্পেন জেতে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেদিন এওয়ে জার্সি বা দ্বিতীয় পছন্দের জার্সি পরে খেলেছিল। এওয়ে জার্সি পরে তাদের বিশ্বকাপ জয় ভেঙে দেয় ৪৪ বছর ধরে চলা এক প্রথাকে। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় পছন্দের জার্সি পরে ফাইনাল জিতেছিল পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে। এরপর ৪৪ বছরের মধ্যে আর কোনো দল এওয়ে জার্সি পরে জিততে পারেনি ফাইনাল।
৩০. বিশ্বকাপ ফাইনালে ঘুরে দাঁড়ানোর অনন্য ইতিহাস গড়ে পশ্চিম জার্মানি গুড়িয়ে দিয়েছিল হাঙ্গেরির জয়রথ। সুইজারল্যান্ডের ভাঙ্কডর্ফ স্টেডিয়ামে ফাইনালে নামার আগে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত ছিল হাঙ্গেরি। ফাইনালে মাত্র ৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়েও যায় দলটি। এরপর তিন গোল করে তাদের জয় ছিনিয়ে নিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতে পশ্চিম জার্মানি।
৪. দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করার রেকর্ড আছে মাত্র চার ফুটবলারের। ভাভা (১৯৫৮ এবং ১৯৬২), পেলে (১৯৫৮ এবং ১৯৭০), পল ব্রেইতনেরের (১৯৭৪ এবং ১৯৮২) পর জিনেদিন জিদান সবশেষ এই তালিকায় নাম লেখান ১৯৯৮ এবং ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করে।
৩. একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার রেকর্ড শুধুই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি কাফুর। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্য এক্সপ্রেস ট্রেন খ্যাত এই ফুটবলার ইনজুরিতে পড়া জর্জিনিয়োর বদলি হিসেবে খেলতে নামেন। এরপর ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল পুরোটা খেলার পর ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ে তিনি দলকে ফাইনালে নেতৃত্ব দেন।
২. দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা একমাত্র ফুটবলার লুইস মন্তি। ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছিলেন এই মিডফিল্ডার। এরপর ১৯৩৪ সালের ফাইনালে ইতালির হয়ে চেকোস্লোভাকিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মন্তি। সেবার তার দল শিরোপা জিতেছিল।