পটুয়াখালীর গলাচিপায় মু. শামীমুর রেজা শামীমকে পানপট্টি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চান তৃণমূল নেতাকর্মী ও পানপট্টি ইউনিয়নবাসী। আগামী বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পানপট্টি ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর তাতে শামীমুর রেজা শামীমকে সভাপতি করার জোর দাবী তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা। মু. শামীমুর রেজা শামীম (৪৮) হচ্ছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পানপট্টি ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল খালেক মিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র।
পানপট্টি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বর্তমান তরুণ সমাজের অহংকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ তরুণ আ’লীগ নেতা শামীমুর রেজা শামীমকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চাই তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এলাকার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, শামীমুর রেজা শামীম তার রাজনৈতিক দুরদর্শীতা ও নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডেই আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সকল সংগঠনের সাংগঠনিক ভিত্তিকে চরম শক্তিশালী করে যাচ্ছেন। তার রাজনৈতিক কর্মদক্ষতা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের জন্য ত্যাগের কারণে তৃণমূল এর নেতাকর্মীরা সম্প্রতি ব্যাপক ভাবে দাবি তুলেছেন তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি করার জন্য।
ইতিমধ্যে তিনি ইউনিয়নে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। শামীমুর রেজা শামীম ছাত্রজীবনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করে পর্যায়ক্রমে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, গলাচিপা পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য থেকে রাজনীতি করতে করতেই আজ রাজনীতি ও জনসেবার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন।
তিনি অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে দলীয় ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে শামীমুর রেজা শামীম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে এবং বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাধারণ কর্মী হয়ে কাজ করছি। আমি কখনোই দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়ার দু:সাহস দেখাইনি এবং যত দিন বেঁচে থাকবো ততদিন দলের শৃঙ্খলা শতভাগ মেনে চলবো। তবে রাজনীতিতে সবার একটা স্বপ্ন থাকে উপরে উঠার। আমি এলাকার সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের অনুমতি ও সমর্থন সাপেক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদের জন্য প্রার্থী হব ইনশা-আল্লাহ্।
তিনি আরো বলেন, আমি সভাপতি হতে ১১৩ পটুয়াখালী-৩ আসনের মাননীয় সাংসদ ও উন্নয়নের রূপকার এসএম শাহজাদা এমপি মহোদয়ের সহানুভুতি কামনা করছি। সেই সাথে আমি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান ছবির গাজী, গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক বাবু সন্তোষ কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মু. শাহিন শাহ, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগ নেতা মাইনুল ইসলাম রনো সহ দায়িত্বশীল সকল নেতৃবৃন্দের সদয় সহানুভুতিও কামনা করছি।
তবে দলের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে তারা আমাকে অবশ্যই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদি।