আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী তাদের (বিএনপি) সঙ্গে হাত মেলায়, অনেক তত্ব কথা শোনায়, গণতন্ত্রের ছবক দেয়, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। এরা নিজেদেরকে বুদ্ধিজীবী ভাবে। আমি তাদের বলি ‘বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীজীবী’। তারা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে নেতা মেনে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলাকারী ও অস্ত্র চোরাকারবারিদের সঙ্গে মিলিত হয় সরকার উৎখাতের জন্য।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, ‘হ্যাঁ, খালেদা জিয়াকে আমরা উৎখাত করেছি। এরশাদকেও উৎখাত করেছি। জিয়াকেও উৎখাত করতে পারতাম কিন্তু আগেই তিনি মারা গেছেন। এখানে একটা দুঃখ রয়েছে, আন্দোলনের আগেই তিনি অক্কা পেলেন। নিজের লোকদের হাতেই মারা গেলেন। ’
এ সময় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এ সব দুর্বৃত্তায়ন যারা করছে তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা কেন? আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আওয়ামী লীগ ২০০৮ এর নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন পেয়ে সরকার গঠন করেছে।
সরকার গঠনের পর থেকে জনগণের জন্য প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিলো, স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪৩-৪৫ ভাগ। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিল সেশন জট, অস্ত্রের ঝনঝনানি, অস্ত্র আর গোলাবারুদের গন্ধ। দেশের অর্থনীতি গিয়েছিল সম্পূর্ণ রসাতলে। রিজার্ভ ছিল মাত্র ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পেলাম মাত্র ৫ বিলিয়ন। আবার এই দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ। ২০০১ সালে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় সেই খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে দিয়েছিলাম আমরা।