চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে চারটায় বক্তব্য দেয়া শুরু করে টানা প্রায় এক ঘন্টা বক্তব্য রাখেন তিনি।
চট্রগ্রামের জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আছে দুটো গুণ, ভোট চুরি আর মানুষ খুন। তারা মিথ্যা কথা বলে, ওটাই ওদের অভ্যাস।
ওরা ধ্বংস করে আর আমরা সৃষ্টি করি। এটাই হচ্ছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য। তারা গ্রেনেড মারতে পারে। আমাদের ২২ জন নেতাকর্মী গ্রেনেড হামলায় সেদিন মারা গেছে। সেদিন যেভাবে গ্রেনেড হামলা করেছিলো তা সরকারী কোন পৃষ্টপোষকতা ছাড়া হতে পারে না। গ্রেনেট হামলায় আইভি রহমান মারা গেছে, সেদিন আমিও মারা যেতে পারতাম।
চট্টগ্রামে তারা সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা চালিয়েছে এই বিএনপি। তারা বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা মানুষের শান্তি চায় না। তারা জনগণের অর্থ পাচার করেছে নিজেরা অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। জিয়াউর রহমান ৮০ সালে যখন মারা যায়, আমরা টিভিতে তখন শুনেছিলাম, একটা ভাঙ্গা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি ছাড়া তার কিছুই ছিল না। খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই হাওয়া ভবন খুলে তার ছেলে চাঁদাবাজি আর অর্থ সংগ্রহ করে অর্থ পাচার করেছে। রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আমার প্রশ্ন, এগুলো কোথা থেকে আসলো? ভাঙ্গা সুটকেস তো আর জাদুর বাক্স হয়ে যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা যেন অন্যের কাছে হাত পেতে না চলি। এজন্য আপনাদেরকে আরো সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানী ব্যবহার সীমিত করতে হবে। আজ ইউরোপ, আমেরিকার মানুষও সাশ্রয়ী হচ্ছে।