গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী জার্মানিকে হারিয় নিজেদের কথা জানান দেয় এশিয়ার দেশটি। তবে ছন্দপতন হয় দ্বিতীয় ম্যাচেই। হেরে বসে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে। তাই তো নানা জটিল সমীকরণ নিয়ে জায়ান্ট স্পেনের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সূর্যের দেশ হিসেবে খ্যাত দেশটি।
ম্যাচের শুরুটা ভালো করতে পারেনি ব্লু সামুরাইরা। মাত্র ১১ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে গোল করে এগিয়ে যায় স্পেন। তবে দ্বিতীয়ায়ার্ধের মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল দিয়ে স্পেনকে কোণঠাসা করে ফেলে হাজিমে মরিয়াসেুর শীর্ষরা। আর এতেই নিজেদের জয় নিশ্চিত করে এশিয়ান দেশটি।
‘ই’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাতে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় স্পেন ও জাপান। ড্র করলেই এনরিকের শীর্ষরা দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠবে ছিল এমন সমীকরণ। আর শেষ ষোলোতে যেতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না ব্লু সামুরাইরাদের। এমন সমীকরণে ম্যাচের ১১ মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে নেন মোরাতা। সেজার এজপিলিকুয়েতার মাপা ক্রসে হেড দিয়ে জাপানের জালে। ১-০ তে পিছিয়ে যায় এশিয়ার দলটি।
এগিয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছেই রাখে স্পেন। এমনকি প্রথম গোলে কয়েক মিনিট বাদেই সুযোগ পেয়েও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি মোরাতা । জাপান বলের দখল নিলেও স্পেনের কাউন্টার প্রেসিংয়ে বল বেশি সময় কাছে রাখতে পারছিল না তারা। বিরতির ঠিক আগে জাপান সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েও সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট হয়। পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে হাজিমে মরিয়াসেুর শীর্ষরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চমক জাপানের। ৪৮ মিনিটে রিতসু দোয়ানের গোলে সমতায় ফেরে ব্লু সামুরাইরা। স্প্যানিশ ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট নেন রিতসু। বলে হাত লাগিয়েও সেটিকে বাইরে পাঠাতে পারেননি স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে ফের স্পেন শিবিরে জাপানের হানা। দারুণ এক আক্রমণে স্প্যানিশ ডিফেন্সে ঢুকে বল পাস দেন দোয়ান। সেই বল কাট ব্যাক করে আও তানাকার কাছে পাঠান কারোরু মিতোমা। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তানাকা। কিন্তু মিতোমা বলটি ক্রস দেওয়ার আগে সেটি গোল লাইন অতিক্রম করে বাইরে গিয়েছিল কি না সেটি দেখতে রেফারি ভিএআর এর সহায়তা নেয়। যেখানে খালি চোখে বলটি বাইরে গেছে দেখালেও রেফারি এটিকে বৈধ বলে ঘোষণা দেয়, ম্যাচে এগিয়ে যায় জাপান।
পরপর দুই গোল হজম করে চাপে পড়ে যায় স্পেন। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও হারায় তারা। এ সময় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে স্প্যানিশ ডিফেন্সের পরীক্ষা নিতে শুরু করে এশিয়ান দলটি।
ফল বদলাতে একাধিক পরিবর্তন আনেন লুইস এনরিকে। তবে কাজের কাজটা হচ্ছিল না কিছুতেই। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্পেন। অন্য দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল জাপানও। তবে তারাও আর গোল পারেনি। যদিও তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। দুর্দান্ত জয়ে শেষ ষোলোতে পৌঁছে যায় জাপান।