মেক্সিকোর বিপক্ষে পাওয়া জয়ের পর আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা ড্রেসিংরুমে মেতেছিলেন বাঁধভাঙা উল্লাসে। সেই আনন্দ উদযাপনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই লিওনেল মেসির বিপক্ষে গুরুতর অভিযোগ তোলেন মেক্সিকান বক্সার কানসেলো আলভারেজ। তিনি অভিযোগ তোলেন, মেসি মেক্সিকো জাতীয় দলের জার্সি এবং পতাকাকে অবমাননা করেছেন।
বাইরে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বুট খুলতে গিয়ে মেসি মেক্সিকোর একটি জার্সি পা দিয়ে সরিয়ে রাখেন।
এ কারণেই মেসির ওপর খেপেছেন আলভারেজ। সেই ঘটনার পর একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন তিনি। তাও অকথ্য ভাষায়। আলভারেজের তোলা অভিযোগ নিয়ে মেসির খুব কাছের বন্ধু এবং সাবেন সতীর্থ সের্হিও আগুয়েরো টুইট করেছেন। আলভারেজের ভুল ধারণা ভাঙতে চেষ্টা চালিয়েছেন। তবে তাতে কাজ হয়নি।
আলভারেজ এখনো নিজের অবস্থানে অনড়। আগুয়েরোর টুইটের পর তিনি পাল্টা টুইটে ফের প্রকাশের অযোগ্য ভাষায় গালমন্দ করেন মেসিকে। জার্সি বিতর্কে ফুটবল পাড়ায় তোলপাড় পড়ে গেলেও মেসি এখনো চুপ এ বিষয়ে। তিনি কোনো কথা না বললেও, এবার এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে পাশে পেলেন তিনি। ব্রাজিলের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফেলিপে মেলো। তিনি আলভারেজের কাণ্ডকারখানাকে স্রেফ বাড়াবাড়ি উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আলভারেজ ফুটবলের কিছুই বোঝে না। ’
মেসির পক্ষ নিয়ে ফ্লুমিনেন্সে খেলা মেলো টিএনটি স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘বক্সিং পছন্দ করায় ক্যানেলোকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু সে ফুটবলের কিছু বোঝে না, তাই চুপ থাকা উচিত। সম্মান দেওয়ায় মেসির চেয়ে ভালো কেউ নেই, কোনো দলেই নেই। তার বিপক্ষে অনেকবারই খেলেছি, প্রতিবারই তার কাছ থেকে সম্মান পেয়েছি। যে লোক মুখ খুলে আজেবাজে কথা বলে, তার (মেসি) সেসব কথার উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। ’
এর আগে আগুয়েরোও একইভাবে মেসির পক্ষ নিয়ে ফুটবলের ড্রেসিংরুমের সংস্কৃতি কী তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আগুয়েরো টুইটে লেখেন, ‘নিশ্চিত করেই আপনি ফুটবল খেলা বোঝেন না, ড্রেসিংরুমের সংস্কৃতিটা বোঝেন না। সেখানে কী হয়, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই আপনার। খেলা শেষে সব সময়ই ড্রেসিংরুমের মেঝেতে জার্সিগুলো স্তূপ করে রাখা হয়। জার্সি থেকে ঘাম ঝরানোর জন্যই এমনটা করা হয়। সেদিনও তেমনই ছিল, বুট খুলতে গিয়ে মেসির পা দুর্ঘটনাবশত সেখানে লেগে যায়। ’
উল্লেখ্য, গত শনিবার লুসাইল স্টেডিয়ামে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারায়। এ জয়ে দলটি টিকিয়ে রাখে নকআউট পর্বে ওঠার আশা। দারুণ এক জয়ের পর আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা ড্রেসিংরুমে মাতে উল্লাসে। সমস্বরে নেচে-গেয়ে মুহূর্তটি উপভোগ করে।