বিএনপি শুধু মানুষের রক্ত চুষে খেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোর শহরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তো শুরু মানুষের রক্ত চুষে খেতে পারে। আর পারে মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে।
এভাবেই বিএনপি নিজেদের উন্নয়ন করেছে। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
এসময় তিনি আরও বলেন, অপরাধ করেছে বলেই খালেদা জিয়া ও তারেক এখন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। জিয়া যখন মারা যায়, বললো কিচ্ছু রেখে যায়নি। ভাঙা স্যুটকেস, ছেঁড়া গেঞ্জি। সেই ছেঁড়া গেঞ্জি হয়ে গেল ফেঞ্চ শিফন আর ভাঙা বাকশো হয়ে গেল জাদুর বাকশো, যা দিয়ে কোকো তারেক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে আর পাচার করেছে বলেই তারা শাস্তি পেয়েছে। আর খালেদা জিয়া জনগণের অর্থ শুধু না, এতিমের অর্থ মেরে, জিয়া অরফানেজের অর্থ মেরে সেও আজ সাজাপ্রাপ্ত। আর সাজাপ্রাপ্ত যে দলের নেতা, সে দল জনগণকে কী দেবে বলেন!
বিএনপি খুন, হত্যা, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া ছাড়া মানুষের জন্য কিছু করেনি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি দিয়েছে অস্ত্র, দিয়েছে খুন। এই যশোরে শামসুর রহমান, মুকুলকে হত্যা করা হয়েছে। খুলনায় মঞ্জুরুল ইমাম, মানিক শাহ, বালু, সাংবাদিকদের একে একে হত্যা করা হয়েছে। শুধু রক্ত আর হত্যা ছাড়া বিএনপি তো আর কিছু দিতে পারেনি দেশের মানুষকে! নিজেরা লুটপাট করেছে। নিজেরা মানুষের অর্থ পাচার করেছে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে নিজেদের উদরপূর্তি করেছে। ’
অস্ত্র চোরাকারবারি করতে গিয়ে তারেক জিয়া ধরা খেয়েছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তার সাজা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকেসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করতে চেয়েছিল। বারবার এ ধরনের মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। ’