পরিবহন শ্রমিকদের চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে মুক্তি এবং তাদের নিরাপদ কর্মসংস্থানসহ সড়কে বিভিন্ন নৈরাজ্য বন্ধে ১২ দফা দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতারা।
শনিবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি করেন। দাবিগুলো হল- সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মোতাবেক সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মাসিক বেতন প্রদান ও ৮ কর্মঘণ্টা নির্ধারণ; পরিবহন শ্রমিকদের চিকিৎসা ভাতা এবং দুই ঈদ ও পূজায় উৎসব বোনাস প্রদান; পরিবহন সেক্টরে অবৈধ চাঁদাবাজি ও হাইওয়ে সড়কে অহেতুক পুলিশের হয়রানি বন্ধ; যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ সব ধরনের ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও দাবি করেন, বিআরটিএ থেকে পরিবহন চালকদের লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে রিটেস্ট প্রথা বাতিল ও পরিবহন শ্রমিকদের সহজ পদ্ধতিতে লাইসেন্স দিতে হবে; ঢাকায় যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ফুলবাড়িয়া স্টপওভার অস্থায়ী পরিবহন টার্মিনালটি কেরাণীগঞ্জে স্থানান্তর করতে হবে; সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে; নাইট কোচ যাত্রীদের ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি পরিবহনের মালিকের মাধ্যমে দুই জন আনসার-পুলিশ নিয়োগ করতে হবে; মালিক সমিতি থেকে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য প্রত্যেক টার্মিনালে বিশ্রামাগার স্থাপন করতে হবে; ঢাকা যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব বাস ও নাইটকোচ কাউন্টার অবিলম্বে আন্তঃজেলা টার্মিনালে স্থানান্তর করাসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদন বিহীন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে।
এসময় পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হানিফ খোকন বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। অথচ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পরিবহন শ্রমিকদের লাভের পক্ষে না গিয়ে শ্রমিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা এবং উন্নয়নকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। তারা মজুরি বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করে শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে সরকারবিরোধী গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের দাবি হল শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।