জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সই জাল করে জিএম কাদেরের পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার অভিযোগটি পিবিআই তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ। শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীতে ১০ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কদের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান তিনি। গুলশানে দলের সমন্বয় কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, জি এম কাদের এখন আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নন।
সারাদেশে পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীদের করা প্রায় ৫-৬টা মামলার আদেশ বা নির্দেশে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে তার (জি এম কাদের) রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বিশেষ করে জি এম কাদের যে গুরুতর অপরাধ করেছেন (এরশাদের সই জাল করে) তাতে তিনি আর জাপার চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারেন না। সই জালের ঘটনা পুলিশ ব্যুরো ওব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্তাধীন রয়েছে।
কাজী মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নবম কাউন্সিল গ্রহণযোগ্য নয়। আর সে কারণেই এখন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তৎকালীন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে জাতীয় পার্টি ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের মুখপাত্র হিসেবে কাজী মামুনুর রশীদ দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া জাপার সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির কার্যক্রম জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আরও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভক্ত সব অংশকে এক প্লাটফর্মে আসার জন্য যোগাযোগ জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির সাবেক সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান। সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব গোলাম মসীহ্। সভায় অংশ নেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া মসিউর রহমান রাঙা, পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম এস এম এম আলম, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক এমপি এম এ গোফরান, সাবেক এমপি ও সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, অধ্যপক ইকবাল হোসেন রাজুসহ দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া অন্যান্য নেতারা।