অ্যাকশন, রোমান্টিক কিংবা অভিভাকত্বের অভিনয়ে নায়ক জসিম ছিলেন অনবদ্য। বাংলা চলচ্চিত্র যতদিন থাকবে ততদিন তার নাম মানুষ মনে রাখবে। তার দুঃখ-কষ্টের
অভিনয়গুলো দর্শকের হৃদয়ে দাগ কেটে যেত। সমাজ মনোনের পরিবর্তনে জসিমের সিনেমাগুলো এখনো ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান জসিম। জসীমের আজ ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই মুক্তিযোদ্ধার অকাল প্রয়ানে বাংলা চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে।
এই সুপারস্টার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলেন। এফডিসিতে জসীমের নামে ‘মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর’ আছে।
‘দেবর’ সিনেমায় জসীম প্রথম অভিনয় করেন। নায়ক হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ‘মোকাবেলা’ সিনেমায়। খলনায়ক হয়ে ৭০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নায়ক হিসেবে ১২০টির বেশি সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
জসীম অভিনীত সিনেমাগুলো কয়েকটি হলো—দেবর, বদলা, কসাই, বাহাদুর, এক মুঠো ভাত, রংবাজ, দোস্ত দুশমন, মহেশখালির বাঁকে, বারুদ, সুন্দরী আসামি হাজির, প্রতিহিংসা, মান-সম্মান, লাইলী মজনু, নাজমা, গাদ্দার, সবুজ সাথী, দুই রংবাজ, প্রেম লড়াই, হিরো, শত্রুতা, ভাই আমার ভাই, ভরসা, মাস্তান রাজা, সারেন্ডার, স্বামী কেন আসামি, সিআইডি, লাভ ইন সিঙ্গাপুর, অভিযান, বিজয়, ছোট বউ, জিদ্দি, ওমর আকবর, রক্তের বদলা, চিরশত্রু, লক্ষ্মীর সংসার, লালু মাস্তান, টাইগার, কাজের বেটি রহিমা ও বাংলার নায়ক আক্রোশ, দি রেইন, কুয়াশা, প্রতিজ্ঞা, এপার-ওপার, নিশানা, নিষ্পাপ, নিঃস্বার্থ, নিষ্ঠুর, স্বামীর আদেশ, মেয়েরাও মানুষ, ভালোবাসার ঘর, ঘাত-প্রতিঘাত, পরাধীন, লাট সাহেব, কালিয়া।
নায়ক জসিমের প্রথম স্ত্রীর নাম সুচরিতা। দ্বিতীয় স্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ‘মুখ ও মুখোশ’র নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্তার মেয়ে নাসরিন। এই দম্পতির তিন ছেলে সামি, রাতুল ও রাহুল।
১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জের বক্সনগর গ্রামে জন্মেছিলেন নায়ক জসিম। তার পুরো নাম আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন।