বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমদানি, রপ্তানি কিংবা বিনিয়োগ সব ক্ষেত্রে পারস্পরিক নির্ভরতা রয়েছে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়ানো আর সে দেশের বড় কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আনতে প্রধানমন্ত্রীর সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার অংকে রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে।এর মধ্যেই, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে বাংলাদেশ। প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৯ সালে দেশটিতে পোশাক রপ্তানি ছিলো ৬ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি। করোন অতিমারির পরের বছর তা কমেলেও বিগত বছরে তা ছাড়িয়ে যায় ৭ বিলিয়ন। যা রপ্তানী প্রবৃদ্ধির প্রায় ৪৩ শতাংশ।
রপ্তানি ছাড়াও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বড় অংকের বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশে থাকা মোট ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা এফডিআইয়ের প্রায় ২০ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তবে তা বাড়ানোর বহু সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরাও। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে দেশে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে বোয়িং সহ কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
এছাড়াও বীমা খাত, গ্যাস উত্তোলন সহ বিভিন্ন খাতেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় অংশগ্রহণ। যা আগামী দিনে আরোও দৃঢ় করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।