বলিউডের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ । বলিউডে এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের শুরু থেকে সালমাল খানের সাথে প্রেমের বিষয়ে
শোরগোল শোনা যেত। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বিয়ে করে বিক্যাট এখন সংসার নিয়ে ব্যস্ত।খবর আনন্দবাজার।
তবে ক্যাটরিনার চোখে সালমান নাকি রোমান্টিক নন! বহু বছর আগে পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহরের জনপ্রিয় শো ‘কফি উইথ করণ’-এ গিয়েছিলেন ক্যাটরিনা ও অভিনেত্রী লারা দত্ত। সেখানে এক মজার প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সালমানকে ‘মোস্ট রোমান্টিক’ তকমা দিতেই চাননি ক্যাটরিনা। সালমানের বদলে তার ভাই আরবাজ খানকে এই তকমা দিয়েছিলেন নায়িকা।
বর্তমানে ভিকি কৌশালের সঙ্গে সংসার পাতলেও সালমান-ক্যাটরিনা জুটির মায়াজাল থেকে বেরোতে পারেনি সিনে দুনিয়া। ‘টাইগার ৩’ ছবিতে তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে সালমান, ক্যাটরিনা ও আরবাজকে।
১৪ বছর বয়সে জুয়েলারির বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হন ক্যাটরিনা। এরপর লন্ডনে মডেলিং কার্যক্রম চালিয়ে যান। এরপর তিনি লন্ডন ফ্যাশন উইকে কাজ করেন। লন্ডনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা কাঈজাদ় গুস্তাদ কাইফকে চলচ্চিত্রের রপালি পর্দায় নিয়ে আসেন। ২০০৩ সালে বুম ছবিতে কাইফকে তিনি সুযোগ করে দেন। মুম্বাইয়ে অবস্থানকালীন অনেক বিজ্ঞাপনচিত্রের প্রস্তাব পান। কিন্তু, চলচ্চিত্র পরিচালকরা হিন্দিতে কথা বলতে না পারায় ক্যাটরিনার সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। ২০০৫ সালে সরকার ছবিতে প্রাথমিক সাফল্য পান। ছবিতে অভিষেকের গার্লফ্রেন্ড বা মেয়েবন্ধুর ভূমিকা নেন কাইফ। ওই বছরেই ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া ছবিতে সালমান খানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি।
২০০৬ সালে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অভিনীত হামকো দিওয়ানা কর গায়ে ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে অসফল হয়। ২০০৭ সালে কাইফের প্রধান সাফল্য আসে ব্যবসাসফল নমস্তে লন্ডন চলচ্চিত্রে অংশ নিয়ে। সেখানে তিনি একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় মেয়ে হিসেবে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো অভিনয় করেন। তারপর আপনে ছবিটি মোটামুটি সফল হলেও ২০০৭ সালে পার্টনার এবং ওয়েলকাম ছবি দুটি বিরাটভাবে বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করে।