কাতার বিশ্বকাপের আগে শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী দলগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় প্রীতি ম্যাচে ঘানার মুখোমুখি হয় রেকর্ড পাঁচ বারের বিশ্বকাপ জয়ী দল ব্রাজিল। যেখানে ঘানাকে পাত্তাই দেয় নি ব্রাজিল। প্রথমার্ধের তিন গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোল না হলে ৩-০তে জয় পায় তিতের দল।
ফরাসিদের মাঠ স্টেড ওশেনে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ব্রাজিল। সেই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ১০ মিনিট না যেতেই ম্যাচে লিড নেয় ব্রাজিল। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে চেষ্টা চালিয়েছে ঘানাও। তবে রেকর্ড পাঁচ বারের বিশ্বকাপ জয়ীদের বিপক্ষে গোল করতে যথেষ্ট ছিল না তা।
এরপর ২৮ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল দারুণ ফিনিশিং দেন রিচার্লিসন। ২-০ তে পিছিয়ে পড়ে খেই হারায় ঘানা। এরপর আর গোল হজম না করায় মনোযোগ দেয় দলটি। তবে ব্রাজিলের অতি আক্রমণে ফের ভুল করে বসে ঘানা। ৩৯ মিনিটে ২৮ মিনিটের পুনরাবৃত্তি ঘটান নেইমার-রিচার্লিসন। এবারও নেইমারের অ্যাসিস্টে ফিনিশিং টাস দেন রিচার্লিসন। তাতে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করব না বলে যেন পণ করে বসে ঘানা। ব্রাজিলের বেশ কিছু আক্রমণ প্রতিহত করে দেয় দলটি। রক্ষণদুর্গে বাড়তি পাহারা বেশ কাজে দিচ্ছিল ঘানার। ৬২ মিনিটে দলে তিন পরিবর্তন আনে তিতে। তাতে সহজ হয় ব্রাজিলকে সামলানো।
ক্যাসেমিরো, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও জোড়া গোল পাওয়া রিচার্লিসনকে ওঠিয়ে নেয় তিতে। তাতে আক্রমণের দাঁড় কমে কিছুটা। তাদের বদলি হিসেবে নামা ফাবিনহো, অ্যান্টনি সান্তোস ও ম্যাথেয়াস চুনহা নজর কাড়তে পারেননি। তবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন দলটির সেরা তারকা নেইমার। এ ম্যাচে তাকে গোল বঞ্চিত রাখতে পেরেছে ঘানা।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু কঠিন আক্রমণ ফিরিয়ে দিলে হতাশ হতে হয় ব্রাজিলকে। ফলে ব্যবধান আর বাড়েনি। তবে প্রথমার্ধে ৩ গোলে এগিয়ে থাকায় সহজ জয়েই শেষ হয়েছে ম্যাচ।