প্রথমে মহামারি ও পরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এতেই নাকাল যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। দেশটিতে জ্বালানিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে বহুগুণে। নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিলেও ঠেকাতে পারছে না মূল্যস্ফীতি। এরই মধ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্যাপক দরপতন হয়েছে যুক্তরাজ্যের মুদ্রা পাউন্ডের; যা ৩৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদপত্রটি জানায়, শুক্রবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর এক শতাংশের মতো কমে ১ দশমিক ১৩৫ ডলারে দাঁড়ায়। অর্থাৎ প্রতি ১ দশমিক ১৩৫ ডলারে এক পাউন্ড পাওয়া যাচ্ছিল; যা চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে দিনের শেষ সময়ের দিকে নিউইয়র্ক ট্রেডিংয়ে ১ দশমিক ১৪ ডলারে লেনদেন হচ্ছিল পাউন্ড।
অন্যদিকে শুক্রবার ইউরোরর বিপরীতে পাউন্ডের দর শুন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমে ১ দশমিক ১৪১ ইউরোতে দাঁড়ায়। চলতি বছরের মধ্যে ইউরোর তুলনায় পাউন্ডের দাম কমেছে চার শতাংশ পর্যন্ত।
পাউন্ডের ক্রমাগত এই পতন দেশটির অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের উদ্বেগ বলে জানিয়েছে বিশেজ্ঞরা।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, নিত্যপণ্য ও জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় গত আগস্টে দেশটিতে খুচরা বিক্রি কমেছে। জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিক্রি কমেছে এক দশমিক ৬ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ অলিভিয়া ক্রস বলেন,‘বিক্রির নিম্নমুখী গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এতেই বুঝা যায়, ব্রিটেনের অর্থনীতি মন্দার মধ্যে রয়েছে। ’
স্যাক্সো ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশলের প্রধান জন হার্ডি বলেন, ‘যা চলছে তার সব কিছুর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পাউন্ডের ওপর। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে যুক্তরাজ্যের বিশাল বাহ্যিক ঘাটতি ও নতুন প্রধানমন্ত্রীর নীতি সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো। ’
গত সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে দুই বছরের জন্য ভোক্তা জ্বালানি বিল বাড়ানো স্থগিত করেছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এতে করে জনগণের সুবিধা হলেও সরকারের অর্থভাণ্ডার থেকে ১০ হাজার কোটি পাউন্ডেরও বেশি খরচ হতে পারে।