আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায় ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ক্রিকেটারদের অনেকেই। ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতে কেউ যাচ্ছেন রোটেশন পলিসিতে, কেউ বা ছেড়ে দিচ্ছেন এক সংস্করণ।
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের অনেকেই এই পথে হাঁটতে শুরু করেছেন। আন্তর্জাতিক টি২০ ছেড়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল।এবার সে পথে হাঠলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও।
টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। রোববার মুশফিকুর রহিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেন, সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা। দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রায় আমি আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়েছি। ভালো এবং খারাপ দুই সময়েই আপনাদের অকুন্ঠ সমর্থন আমার প্রেরণা। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি। তবে, বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবো। আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরও কিছু নিয়ে আসতে পারবো দেশের জন্য।
মুশফিকুর রহিম সেই পোস্টে লেখেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(বিপিএল) সহ অন্যান্য ফ্রেঞ্চাইজি লিগে আমি আমার খেলা চালিয়ে যাবো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আলহামদুলিল্লাহ। সবার নিকট কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
আফগানিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছেও হেরে সবার আগে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ দল। চরম হতাশাময় টুর্নামেন্ট কাটিয়ে শনিবার সকালে দেশে ফিরে এসেছে জাতীয় দল। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার কাছে হারের ম্যাচে ব্যক্তিগত এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশের বিদায় নেওয়ার দিন ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন মুশফিক। আগের ম্যাচে ১ রান করার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আউট হন মাত্র ৪ রান করে। দুই ম্যাচে করা এই ৫ রানের সুবাদে বাংলাদেশের চতুর্থ ও বিশ্বের ৪৬তম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫শ রান পূরণ করেছেন মুশফিক।
তবে এই মাইলফলকে খুশি হওয়ার উপায় নেই একদমই। কেননা এই ফরম্যাটে অন্তত ১৫শ রান করা বিশ্বের ৪৬ জন ব্যাটারের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থা মুশফিকেরই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫শ রান করতে তিনি খেলেছেন ১০২টি ম্যাচ।
বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটারকে ১৫শ রানের জন্য এত বেশি ম্যাচ খেলতে হয়নি। শুধু তাই নয়, ১৫শ রান করা ব্যাটারের মধ্যে মুশফিকই একমাত্র, যার ব্যাটিং গড় ২০-র নিচে। তিনি এই ১৫শ রান করেছেন মাত্র ১৯.৪৮ গড়ে। বাকি ৪৫ ব্যাটারের সবাই অন্তত ২০ গড়ে রান করেছেন।
তিনি ১০২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১৯.৪৮ গড়ে ১৫শ রান করেছেন মাত্র ১১৫.০৩ স্ট্রাইকরেটে। তার চেয়ে কম রেটে ব্যাটিং করেননি আর কোনো ব্যাটার। অবশ্য স্ট্রাইকরেট কম থাকার দোষে মুশফিক একাই দুষ্ট নন, বাংলাদেশের সব ব্যাটারেরই আছে এই সমস্যা।