নাটোরের গুরুদাসপুরে মাথার খুলি ও মস্তকবিহীন এক শিশুর জন্ম হয়েছে। শুক্রবার রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের,
আনোয়ার ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশুটির জন্ম হয়। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় বৃ-কাশো গ্রামের কৃষক এমদাদুল হকের স্ত্রী নাছরিন বেগম তাঁর দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য ওই ক্লিনিকে আসেন। শুক্রবার রাত আনুমানিক নয় টার দিকে ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক, ডাক্তার মোঃ আমিনুল ইসলাম সোহেল কর্তৃক সিজারিয়ানে অস্ত্রোপচারের (সিজার) এর মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পরই দেখা যায় শিশুটির মাথার খুলি ও মস্তিস্ক নেই। তবে শিশুটি এখনো বেঁচে আছে, একই সঙ্গে তাঁর মা ও সুস্থ আছেন।
এ বিষয়ে ডাক্তার মোঃ আমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, খুলি ও মস্তকবিহীন জন্ম একটি রোগ। এ রোগের নাম অ্যানেনসেফালি। আমার অপারেশন জীবনে এমন অনেক শিশু দেখেছি। এটি মুলত জীন ও হরমোনের সমস্যার কারনে হয়ে থাকে। তবে এ ধরনের শিশু বেঁচে থাকেনা।
এরপর ও বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করা হয়। বাঁকিটুকু আল্লাহর ইচ্ছা, তবে উন্নত চিকিৎসা করালে বাঁচানোর সম্ভাবনা আছে। শিশুর বাবা এমদাদুল হক জানান, তিনি পেশায় কৃষক। তাঁর স্ত্রীর এর আগে একটি ছেলে সন্তান আছে, সদ্য জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় সন্তানের মাথার খুলি ও মস্তিস্ক নেই।
উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো তাঁর শিশু এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা করার মতো তাঁর সামর্থ্য নেই। তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।