কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শোক বার্তায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কালজয়ী কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী। তিনি তাঁর গণসংগীতের মাধ্যমে ষাটের দশকে পাকিস্তান স্বৈরসরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে স্কুল,কলেজ, হাট-বাজারে, গ্রামে-গন্জে, পথে ঘাটে তাঁর সংগ্রামী প্রতিবাদী গণসংগীত গানের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে স্বাধীনতার উদ্দীপনা সৃষ্টি করেন। এছাড়াও তিনি বহু কালজয়ী গানের গীতিকার ছিলেন।
যুদ্ধের সময়ও তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ছিলেন। ছাত্র জীবনে তিনি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শোকবার্তায় আরো বলেন, ফকির আলমগীর ১৯৭৬ সালে গঠন করেন ঋষিজ শিল্পগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর মাধ্যমে গণসংগীতকে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। তিনি দেশ ও পাশ্চাত্য সংগীতের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা গানে নতুন মাত্রা সংযোজন করেন। তিনি ছিলেন গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের আপনজন। আমার সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিলো বড় ভাই আর ছোট ভাইয়ের মত।
তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত সহ নানা পদকে ভূষিত হন। তাঁর সংগীতে ও মুক্তিযোদ্ধে অবদানের জন্য গণস্বাস্থ্যে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তাঁর মৃত্যুতে দেশ হারলো কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পীকে আর আমরা হারালাম গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের অকৃত্রিম বন্ধু। দেশের গণসংগীত সংস্কৃতিক অঙ্গনে বড় শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা অপূরনীয় ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর কিংবদন্তি গণসংগীত ও লেখা গান ও বহুবিধ কর্ম এবং দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান চিরস্মণীয় হয়ে থাকবে।
শোক বার্তায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০ টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর।