করোনার কারণে গত ১৫ মাস ধরে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে করে ক্ষতির মুখে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আর্থিক সংকটে বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরাও। আর এবারও উদ্বিগ্ন এসএসসি ও এইচএসসির ৪০ লাখ পরীক্ষার্থী। চাকরির বয়স সীমা পার হওয়া নিয়েও শঙ্কায় লাখো বেকার তরুণরা।
এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, হয়তো এই সংবাদ সম্মেলন থেকেই আসতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা-না খোলার বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত।
এদিকে গত ২৩ মে পর্যন্ত বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। লকডাউন বাড়ার কারণে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হচ্ছে আগামি ২৯ মে। মাত্র সাত দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, বেশির ভাগ অভিভাবক স্কুল খোলার বিপক্ষে। যদিও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জরিপ বলছে ভিন্ন কথা। সম্প্রতি পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণা জরিপে দেখা যায়, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ৯৭ শতাংশ অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার ঝুঁকিতে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে ৬০ দিন এসএসসি এবং ৮০ দিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে পড়িয়ে তারপর পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় আরও তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবনা রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে জোনভিত্তিক গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি-এইচএসসি শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে ক্লাস শুরুর ঘোষণা ও ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সার সংক্ষেপ মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করতে পারেন।