করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বহাল আছে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় তা খোলার কথা থাকলেও এই ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এর ফলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছরও এই দুটো পরীক্ষা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অনুষ্ঠিত হয় নি। ফলে শিক্ষার্থীদেরকে ‘অটোপাশ’ দেয়া হয় যা বেশ সমালোচনার সৃষ্টি করে।
তবে এবার কি হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এলে সীমিত পরিসরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম চালুর চিন্তা করা হচ্ছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এবার অটো পাস দেওয়া হবে না। আমরা যে কোনো মূল্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেব। আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। সংক্রমণ কমলে ‘কাস্টমাইজড’ (বিশেষায়িত) সিলেবাসের ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক ক্লাস নেওয়া হবে। এরপরই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জেএসসি পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে হয়তো ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যেভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়, সেই নীতি অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যা এখনও চলমান।