ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে ইসলাম উদ্দিন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ইউপি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন ইউপি ভবনের সামনে এক দোকানে বলছিলেন, আমি একজন গরীব মানুষ অথচ সরকারি কোন সাহায্য পাইনা। একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডও পেলাম না। সরকার তো অনেক কিছুই দিচ্ছে। আর মেম্বারের কাছে গেলে বলেন কিছুই আসেনি কথায় থেকে দিবো। এ কথা শুনে গ্রাম পুলিশ বলাই চন্দ্র মুঠোফোনে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথকে এসব কথা বললে মেম্বার এসে বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দিনকে বেধক মারধর করেন। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ ইসলাম মাটিতে পড়ে গেলে তার ছেলে মোস্তাফা এগিয়ে আসলে চকিদার ও মেম্বারের বাহিনী মান্নান তাকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দীন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, বাবার বয়সী ইসলাম উদ্দিন দোকানে বসে নিজের কষ্টের কথা বলছিলেন এমন সময় মেম্বার বিশ্বনাথসহ তার দলবল এসে তাকে চড় থাপ্পর মারতে শুরু করে। আমরা এগিয়ে আসলে মেম্বারের সাথে থাকা মান্নান আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বলেন যে, বাঁচতে চাইলে কেউ আসবিনা।ভুক্তভোগী ইসলাম উদ্দিন জানান, ‘‘মুই দোকানত বসে খালী কনু মেম্বারটা কি হামাক কিছু দিবেনি। সরকার এতো কিছু দেছে আর মেম্বারটা কহেছে কিছুই নাই। ইলা কথা শুনে চকিদার বলাই মেম্বারটাক ফোন করে ডাকে সাথে সাথে মেম্বার এসে মোক চড় কিল ঘুষি মারতে মারতে মাটিতে ফেলায় দেয়। মোর ছুয়াডা আগায় আসলে তাকেও চকিদার আর মান্নান মারে। আল্লাহই মেম্বারের বিচার করিবে।’’
ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ বলেন, ইসলাম উদ্দিন আমাকে ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে গালিগালাজ করে একথা শুনে গ্রাম পুলিশ বলাই আমাকে বলেন। আমি তখন চেয়ারম্যানকে বিষয়টা জানালে তিনি আমাকে ওই বৃদ্ধকে ২/৪টা চড় থাপ্পড় দিতে বলেন। অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন জানান, বৃদ্ধকে মারপিটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ররঞ্জন কুমার রায় বলেন, ইউপি সদস্য এক বৃদ্ধকে মারধর করেছেন এটা শুনেছি। স্থানীয়ভাবে তাদের বসার কথা রয়েছে।