বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্থানে শনাক্ত হচ্ছে করোনার নতুন ধরণ। তাছাড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিশ্বব্যাপী দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে প্রকট হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক বৈষম্য।
ধনী দেশগুলো তাদের নিজেদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভ্যাকসিন উৎপাদন করলেও সব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সমানভাবে প্রমাণিত হয় নি। ফলে ধনী দেশগুলোর মধ্যে ভ্যাকসিন মজুদ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে অনেক দেশই তাদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি চালু করছে, অপরদিকে আফ্রিকান দেশগুলোতে করোনা সমানভাবে হানা দিলেও তাদের কাছে কোন ভ্যাকসিন নেই। আর আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশে এপ্রিলের আগ পর্যন্ত টিকা হাতে পাওয়ার কোন সম্ভাবনাও নেই। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নাইজেরিয়াতে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই বৈষম্যের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আফ্রিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) প্রধান জন এনকেঙ্গাসং। তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারীটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র উপায় বিশ্বব্যাপী একত্রে একে মোকাবেলা করা। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সাথে লড়াই করতে আমাদের এটা এখনই প্রয়োজন, যাতে আমরা কার্যকরভাবে একে মোকাবেলা করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, “পরবর্তী প্রজন্ম শুধুমাত্র বিশ্বের একটি মাত্র অংশকে টিকা দেওয়ার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। কারণ তারা ধনী ছিল, এবং বিশ্বের কিছু অংশকে দরিদ্র হওয়ার কারণে তারা টিকা দিচ্ছিল না।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও অন্যান্য জি -২০ নেতারা করোনা ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে ভাগ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে এর সময়সীমা স্পষ্ট করে নি। সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকার গত সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে এবং মৃত্যুর পরিমাণ ২৬ শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এই মহাদেশে ২৭ লাখ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে এবং ৬৫ হাজারের বেশি লোক মারা গেছে।