রানটা খুব বেশি না। তবে দুরন্ত বোলিংয়ের কারণে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল ১০ রানে হারিয়ে জিতে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৫ ম্যাচে এটা কলকাতার তৃতীয় জয়। তাই টেবিলে পয়েন্টের ৩ নম্বরে উঠে এল কলকাতা।
আর চেন্নাই ৬ ম্যাচে হারল ৪টিতেই। তাদের অবস্থান এখন ৫। এই জয়ে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক কিছুটা অক্সিজেন পেয়ে গেলেন। একই সঙ্গে শাহরুখ খানের সামনে ফের জয় তুলে নিল কেকেআর।
বুধবার (৭ অক্টোবর) কলকাতার রানটা আটকে গেল মিডল ওভারে পরপর উইকেট হারানোয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা, আন্দ্রে রাসেল রান পাচ্ছেন না। প্রতি ম্যাচে ব্যর্থ হচ্ছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। আজও ফিরলেন মাত্র ২ রানে।
টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং নিয়েছিল কেকেআর। এদিন আর নারিন নন, শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করতে এসেছিলেন রাহুল ত্রিপাঠী। সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগালেন। নাইটদের হয়ে সর্বোচ্চ রান এল তারই ব্যাট থেকে।
করলেন ৫১ বলে ৮১ রান। মেরেছেন ৮টি চার ও ৩টি ছয়। কিন্তু বাকিরা ব্যর্থ হওয়ায় কেকেআরকে ২০ ওভারে থেমে যেতে হয় মাত্র ১৬৭ রানে।
নীতিশ রানা, শুভমান গিল, ইয়ন মর্গ্যান, রাসেল, সুনীল নারিনরা ব্যর্থ। দীনেশ কার্তিক আজও ব্যর্থ। এরপর তিনি আর কতদিন অধিনায়ক থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। যদিও ম্যাচ জেতায় কিছুটা অক্সিজেন তিনি পেলেন। প্যাট কামিন্স শেষ দিকে ৯ বলে ১৭ রান করেন।
চেন্নাই বোলারদের মধ্যে ডোয়েন ব্রাভো পেলেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিলেন স্যাম কারেন, শার্দুল ঠাকুর ও করণ শর্মা। প্রথম ম্যাচেই জাত চেনালেন করণ। আর ধোনি? যেভাবে ব্রাভোর বলে শিবম মাভির ক্যাচ ধরলেন, তা পুরনো ধোনিকে মনে করিয়ে দিল। কিন্তু ব্যাট হাতে তিনি ব্যর্থ।
ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই থেমে গেল ১৫৭/৫ রানে। দলের পক্ষে শেন ওয়াটসন ৪০ বলে ৫০ করলেন। ডু’প্লেসি রান পাননি। আম্বাতি রায়ডু করেন ৩০। চারে নামলেন ধোনি। কিন্তু ১২ বলে ১১ রান করেই আউট। বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হলেন তিনি।
বাকিরা চেষ্টা করলেও দলকে জেতাতে পারলেন না। জাদেজা করলেন ৮ বলে ২১ রান। কেকেআরের হয়ে প্যাট কামিন্স, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলরা দুরন্ত বোলিং করলেন। ডেথ ওভারে রাসেল তো ২ ওভারে দিলেন মাত্র ১৮ রান। তুলে নিলেন ১ উইকেট। প্যাট কামিন্স ছাড়া প্রত্যেকেই পেলেন ১টি করে উইকেট।