আজ ২৯ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব হার্ট দিবস। বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশও ২০০০ সাল থেকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ’।
এ উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠান আলোচনাসভা ও ফ্রি মেডিকেল চেকআপের আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যান, যার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট। যেসব কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে তার মধ্যে ট্রান্সফ্যাট অন্যতম।
ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগ পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর একক কারণ হিসেবে শীর্ষে। ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও) যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিশু এবং নারীরাই বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন। বর্তমানে হৃদরোগকে বিশ্বের একনম্বর ঘাতকব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হৃদরোগের ভয়াবহতার ব্যাপারে তেমন প্রচারণা নেই। ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাবার ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ ছাড়া কারও পক্ষে হৃদরোগের ব্যাপারে ঝুঁকিমুক্ত থাকা কঠিন।