সারাদেশের জেলা স্টেডিয়ামগুলোর বেশিরভাগের বেহাল দশা আর জেলার ক্রীড়াঙ্গণের স্থবিরতা, ক্রীড়াঙ্গণের উন্নয়নে অন্যতম বড় দুই বাধার নাম। জেলার ক্রীড়াঙ্গণের প্রাণকেন্দ্র খ্যাত স্টেডিয়ামগুলোর তদারকিতে থাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর গাফিলতির খবর এখন ওপেন সিক্রেট।
করোনা পরবর্তী সময়ে এসব বিষয়ে বাড়তি নজর দেয়ার কথা বলছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সেই সাথে সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে গড়ে ওঠা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরিতে আসা নানান অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের উপর দিচ্ছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
আন্তর্জাতিক ভেন্যু খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের চেয়ারগুলোর এমন ভঙ্গুর দশা যেনো দেখার কেউ নেই। যশোরের শামসুল দুহা স্টেডিয়ামে বুক সমান ঘাস। নেই খেলাধুলার ন্যূন্যতম পরিবেশ। তেমনি রাজশাহীতে উন্নত ক্রীড়া কাঠামো থাকলেও নেই কোনো রক্ষণাবেক্ষণ। একই অবস্থা রংপুরের। কাশফুলে ছেয়ে গেছে স্টেডিয়াম।
সারাদেশের স্টেডিয়ামগুলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে। আর দেখভালের দায়িত্বে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। দেশের অনেক জেলার খেলাধুলার স্থবিরতার অন্যতম কারণ হিসেবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদাসীনতাকে দায়ি করা হয়। সেসব বিষয়ে এবার কঠোর নজরদারির কথা জানালেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
টাঙ্গাইলের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি স্থানীয় সংগঠকদের ভাষায় ক্রীড়া কাঠামো তৈরিতে হরিলুটের বড় উদাহরণ।সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম নির্মাণে সরকারের প্রসংশনীয় উদ্যোগকে ভেস্তে দিয়েছে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি।
টাঙ্গাইলের এই স্টেডিয়ামটির মাঝখান দিয়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। মূল মাঠে মাটির বদলে ফেলা হয়েছে সিলেকশন বালু। বিষয়টি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর নজরে আনলে তিনি স্থানীয় পর্যায়ের স্টেডিয়াম নির্মান সংশ্লিষ্টদের উপর দায় চাপান।
ক্রীড়াঙ্গণের উন্নতিতে সারাদেশের ক্রীড়া কাঠামোগুলোর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ এখন সময়ের দাবি।