বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় একটি পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করতে ওই পরিবারের এক বৃদ্ধাকে অমানুষিক নির্যাতন করে চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বৃদ্ধা ও তার পরিবার।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনটি করেন মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরহাট থানার আন্দারমানিক গ্রামের বৃদ্ধা সফুরা বেগম (৬৫) ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে সফুরা বেগম বলেন, স্থানীয় সেকান্দার আলী হাওলাদারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকায় ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন তারা। সম্প্রতি সেকান্দার ওই জমি বাবদ আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন।
এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে গত ১৫ জুলাই বৃদ্ধা সফুরার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। তার চুল কেটে এবং তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে পুনরায় নানাভাবে হয়রানি, হুমকি এবং নির্যাতন চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, মামলার আসামিরা ওই এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কেউ এর প্রতিবাদও করতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এটনার যথাযথ বিচার চেয়েছেন সফুরা বেগমের মেয়ে সোনিয়া বেগম। তারা নিজ বাড়িতে শান্তিতে বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন।
নারীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অভিযুক্তদের কঠোর বিচার দাবি করেছেন বরিশালের সুশীল সমাজের নেতারা।
এদিকে, পুলিশ বলছে এ ঘটনায় উভয়পক্ষের পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিলো। জামিনে বেরিয়ে এসে তারা ফের ওই পরিবারকে কোন নির্যাতন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।