বিদেশী ফল মালটা এখন আর দুর্লভ নয়। দেশের অন্যান্য স্থানের মত পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় মালটা আবাদের পরিধি বাড়ছে। লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন চাষিরাও ঝুঁকছেন মাল্টা চাষে।
পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের মধূপুর গ্রামে প্রায় ৫ বিঘা জমির উপরে মালটার বাগান করেছেন মকবুল হোসেন নামের একজন কৃষক।
প্রথম বছর অল্প জমিতে পরীক্ষামূলক মালটার আবাদ করে সফলতা পাওয়ায় এবছর মালটা আবাদের পরিধি বাড়িয়েছেন তিনি।
মকবুল জানান, মালটা চাষে পরিচর্যায় ঝামেলা এবং খরচও তুলনামূলক কম। একটি গাছেই বিপুল পরিমাণ মালটা ধরে।
লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয় অন্যান্য চাষিরাও মালটা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
বিদেশী মালটার চেয়ে দাম কম আর সুস্বাদু হওয়ায় দেশে আবাদ হওয়া মালটার চাহিদা ভোক্তাদের কাছে বেশী বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
কৃষি কর্মকর্তারা জানালেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট দেশী প্রজাতির এই মালটার জাত উদ্ধাবন করার পর থেকেই দেশের বিভিন্নস্থানে বারী-১ নামের এই মালটার আবাদ ছড়িয়ে পড়ছে।
কৃষি ঋণ, সার, কীটনাশক ও বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্য হ্রাসসহ কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে দেশে উদ্ভাবিত এই মালটা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব দাবি সংশ্লিষ্টদের।