পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে এবার আক্রান্ত হলো মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতল ভবন। ব্যাপক ভাঙ্গনে রোববার বিকেলে ইতোমধ্যেই ভবনটির পিলার নদীতে চলে গেছে।
সোমবার বিকেলে পুরো ভবনটি পদ্মা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। কয়েক বছর আগেও ভবনটি নদী থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ছিল।
পাশেই একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও কাজীরসুরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাটসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ভয়াবহ ভাঙ্গন ঝূঁকিতে রয়েছে।
চলতি বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে শিবচরের চরাঞ্চলের চারটি বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি বন্যায় চরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবন, চরজানাজাত ইউনিয়নের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক স্থাপনা ও ইউনিয়ন পরিষদ, কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৭৭ নং কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারের ৩ তলা ভবনটি বিলীন হয়। আক্রান্ত হয় সহস্রাধিক ঘর-বাড়ি।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, শিবচরের চরাঞ্চরের একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে।
এর আগে আমরা বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙ্গন ঠেকানো যায়নি।