চেক প্রতারণার অভিযোগে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ব্যবসায়ী বাদশাহ বুলবুল। রোববার (১৯ জুলাই) ঢাকার জজ কোর্টের আইনজীবী মো. মুনজুর আলমের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অপুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সমস্ত প্রমাণাদি আছে বলে দাবি করেছেন বাদশাহ বুলবুল।
ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী বাদশাহ বুলবুলের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সুবাধে প্লট ক্রয়ের কিস্তি পরিশোধ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য অপু তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নেন। গত ৭ জুলাই সে ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেয় অপু। কিন্তু অপুর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক চেকটি ফেরত পাঠায়। বিষয়টি অপুকে জানানো হলে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে বাদশাহ বুলবুল নামের ওই ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
লিগ্যাল নোটিশে অপুকে ৩০ দিনের মধ্যে সব অর্থ পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে। তা না করা হলে অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর ওই ব্যবসায়ী তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশে অপুকে ৩০ দিনের মধ্যে সব অর্থ পরিশোধের জন্য বলা হয়েছে। তা না করা হলে অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করে অপু বিশ্বাস বলেন, ঘটনা আসলে এরকম নয়। শাকিবের (অপুর সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শাকিব খান) সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিছুটা অর্থকষ্টের মুখে পড়েছিলাম। তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নতুন কিছু করার। তাই বগুড়ায় আমাদের পারিবারিক কিছু সম্পদ বিক্রি করে এ বাদশাহ বুলবুলের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তার আচার-আচরণে আমার সন্দেহ হয়। এমনকি তিনি অশালীন আচরণও শুরু করেন। তাই সিদ্ধান্ত নিই তার সঙ্গে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলব। সেখান থেকেই এ ঝামেলার সূত্রপাত।
তাহলে চেকের প্রসঙ্গ আসল কীভাবে জানতে চাইলে অপু বিশ্বাস জানান, ওই সময় ব্যবসায় আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারতাম না। তাই বুলবুল সাহেব আমাকে অনুরোধ করে আমি যেন ২/৩টি চেকবইয়ে স্বাক্ষর করে রাখি ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক যে কোনো কাজের জন্য। সে চেকগুলো দিয়ে এ ঘটনাটি সাজানো হয়েছে। এছাড়া এ চেক ইস্যু নিয়ে ওই সময় আমি গুলশান থানায় জিডি করেও রেখেছিলাম।
এদিকে, যোগাযোগ করা হয় সেই ব্যবসায়ী বাদশাহ বুলবুলের সঙ্গে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, বিপদে পড়লে বাঁচার জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে। অপুও চেষ্টা করছে উল্টো পাল্টা বলতে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সকল প্রমাণাদি আছে আমার কাছে। এগুলো সব আইনজীবীর কাছে জমা দেওয়া আছে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপে জন্য।
ঘরোয়াভাবে মীমাংসা না করে আইনের দ্বারস্থ হলেন কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বাদশাহ বুলবুল বলেন, সবারই মান সম্মান আছে। চেষ্টা করেছি এ বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সুরাহা করতে। তার বগুড়ার বাড়ির লোকজনও বিষয়টি জানে। এমনকি বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য চিত্রনায়ক ইমন ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট আরও একজনের সহায়তা চেয়েছিলাম। তারাও বিষয়টি সমাধান করতে চেয়েছেন। কিন্তু সমাধান না পেয়ে অবশেষে আইনি পদক্ষেপের দিকে পা বাড়াই। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নেই। প্রয়োজনে আমার আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।